কথাশিল্পী বুলবুল চৌধুরীর ৭৩তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৮ সালের ১৬ আগস্ট গাজীপুরের দক্ষিণবাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাউল স্বভাবের এ মাটিবর্তী মানুষ। স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশে তার শব্দের চাষাবাদ স্বকীয়তার গুণে সাহিত্যকর্মে যুক্ত করেছে এক নতুন আদল।

বুলবুল চৌধুরীর লেখনীতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং তাদের যাপিত জীবন উঠে এসেছে স্বতঃস্ম্ফূর্তভাবে। প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ ‘টুকা কাহিনি’র মাধ্যমে তিনি সাহিত্যবোদ্ধাদের সমীহ আদায় করে নেন। এর পর প্রকাশিত প্রতিটি গ্রন্থে তিনি নিজেকেই ছাড়িয়ে যেতে চেষ্টা করেছেন।

বুলবুল চৌধুরীর লেখা গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ‘টুকা কাহিনি’, ‘পরমানুষ’, ‘মাছের রাত’ এবং ‘চৈতার বৌ গো’।

উপন্যাসের তালিকায় আছে- ‘কহ কামিনী’, ‘পাপপুণ্যি’, ‘তিয়াসের লেখন’, ‘অচিনে আঁচড়ি’, ‘মরম বাখানি’, ‘এই ঘরে লক্ষ্মী থাকে’, ‘ইতু বৌদির ঘর’, ‘ভাওয়াল রাজার উপন্যাস’, ‘জলবউ’ ছাড়াও বেশ কয়েকটি গ্রন্থ।

তার আত্মজৈবনিক তিনটি গ্রন্থের নাম- ‘মানুষের মুখ’, ‘জীবনের আঁকাবুঁকি’ ও ‘অতলের কথকতা’। ‘গাঁও-গেরামের গল্পগাথা’, ‘মাছ বৃদ্ধির এক রাতে’, ‘গীতিকার গল্প’ ও ‘লাল কমল নীল কমল’ নামক কিশোর গ্রন্থের রচয়িতাও তিনি।

আজীবন লেখালেখিতে নিবেদিত ও নিরলস বুলবুল চৌধুরী স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন বোদ্ধাদের সমীহ দৃষ্টি, পাঠকের প্রিয়তা এবং জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন পুরস্কার।

উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ব্র্যাক ব্যাংক ও সমকাল সাহিত্য পুরস্কার।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা