নতুন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা কোষের অভ্যন্তরে করোনাভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরির ক্ষমতা রোধ করতে পারে এমন নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের দিকে নজর রেখেছিলেন এবং সম্ভাব্য ৭টি ওষুধ তালিকাভুক্ত করেছেন।
সবগুলো ওষুধই বাজারে বিদ্যমান বলে জানিয়েছেন বার্সেলোনার বিজ্ঞানীরা। এসব ওষুধ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম বলেও দাবি করা হয়েছে।
এর মধ্যে খুব প্রচলিত অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি ওষুধ জানাক্স সহ আরো দুটি ওষুধ (অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ওষুধ কার্পোফেন এবং সেলোকক্সিব) ল্যাব পরীক্ষায় আশাব্যঞ্জক ফলাফল প্রদর্শন করেছে। তবে গবেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, ৭টি ওষুধের যেকোনোটি নির্ধারিত হওয়ার আগে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
নোরিজ জার্নালে প্রকাশিত এ গবেষণায় বিজ্ঞানীদলটি শরীরে ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরির ক্ষমতা রোধের ওষুধ শনাক্তে ৬,৪৬৬টি ওষুধের দিকে নজর দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৭টি ওষুধ শনাক্ত করেছেন, যা শরীরকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করতে পারে। যদিও বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, ওষুধগুলোর সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য আরো অনেক বেশি গবেষণা প্রয়োজন।
নতুন শনাক্ত হওয়া ৭টি ওষুধ হলো- পেরাম্প্যানেল, কার্পোফেন, সেলোকক্সিব, আলপ্রাজোলাম, ট্রোভাফ্লক্সাসিন, সারাফ্লক্সাসিন এবং ইথাইল বিস্কোম্যাসেট। এর মধ্যে আলপ্রাজোলাম বা জানাক্স হলো এ তালিকার সবচেয়ে প্রচলিত ওষুধ।
ইথাইল বিস্কোম্যাসেট হলো অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট ওষুধ, যা রক্ত জমাট বাঁধা মোকাবিলায় সহায়তা করে। ট্রোভাফ্লক্সাসিন এবং সারাফ্লক্সাসিন হলো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ, অন্যদিকে পেরাম্প্যানেল হলো অ্যান্টিপাইলেপটিক ওষুধ।
প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন নেই। প্রচলিত বেশ কিছু ওষুধের মাধ্যমেই এই রোগ নিরাময়ের জন্য বিশ্বজুড়ে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সূত্র-ডেইলি মেইল।
বৈশাখী নিউজ/ বিসি
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/