করোনা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে আশার আলো দেখাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: May 21, 2020 |
print news

করোনা ভাইরাসজনিত কভিড-১৯ এর কারণে গোটা বিশ্বে স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়লেও এই অচলাবস্থা বৈশ্বিক জলবায়ুর জন্য ভালো বয়ে আনছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মতে, বর্তমান সংকট বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে আশার আলো দেখাচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) ৭৬তম অধিবেশনে ভিডিও বার্তায় ভাষণের সময় তার ভাষণে এ কথা বলেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “কভিড -১৯ মহামারির কারণে বিশ্ব শতাব্দীর অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার পাশাপাশি এই ভাইরাসটি আমাদের অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তবে, মহামারিটি জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতা মোকাবিলার বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার পরিবর্তনে কিছু আশার আলোও দেখিয়েছে। এই মহামারি আমাদের এক সঙ্গে মোকাবিলা করা দরকার।”

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংকটের কারণে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এসক্যাপের অধিবেশন ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হলো। এবারের অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য মহাসাগরে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত সহযোগিতা প্রচার’।

ব্যাংককে এই অধিবেশনে শেখ হাসিনার অংশ নেওয়ার এবং মূল বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল; তবে অধিবেশন ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও বার্তায় তার বার্তা পৌঁছে দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইউএনবি।

এসক্যাপের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে তিনি তিনটি মৌলিক ইস্যু তুলে ধরেন।

এগুলো হলো- প্রথমত, সবুজ অর্থনীতির উন্নত দেশগুলো থেকে জ্ঞান, দক্ষতা এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সমর্থন।

দ্বিতীয়ত, আঞ্চলিকভাবে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং অবৈধ, অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত ফিশিং প্রতিরোধ ও নির্মূলের ক্ষেত্রে সাধারণ প্ল্যাটফর্ম নেটওয়ার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে মৎস্য উন্নয়নের ওপর যৌথ গবেষণা।

তৃতীয়ত, সমুদ্রের উপকূলীয় আবাস এবং জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা সংস্থান শনাক্তকরণ এবং মানচিত্র ও পরিচালনা শুরু করা।

শেখ হাসিনা বলেন, “দারিদ্র্য দূরীকরণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদানে মহাসাগর ও সমুদ্র আমাদের জীবিকা নির্বাহে এক সম্ভাব্য সংস্থানের উপায়।”

“পরিবেশ দূষণকারী উপাদান সামুদ্রিক খাদ্য-ওয়েবের প্রধান অন্তরায়। সমুদ্রের সম্পদ ব্যবহারের টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সম্পদের দক্ষতার পথে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একীভূত উদ্যোগ প্রয়োজন।”

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকার দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় উন্নয়ন কৌশলের অংশ হিসেবে সবুজ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।”

“বাংলাদেশ সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং টেকসই ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করছে এবং মিঠা পানির ও সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় অন্যান্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।”- যোগ করেন শেখ হাসিনা।

এসকাপের এবারের অধিবেশনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং এসকাপের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. নাজমুল কাউনাইন।

থাইল্যান্ড ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়।

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর