কতদিন থাকবে এই অবস্থা তা কেউ বলতে পারছে না: প্রধানমন্ত্রী
পৃথিবীর প্রায় ২০৯টি দেশ আজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিনিয়ত মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। গত ডিসেম্বর থেকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তখন থেকেই আমরা সতর্ক ছিলাম। যখনি আমাদের দেশে দেখা দেয় তখননি আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।কতদিন এই অবস্থা থাকবে তা কেউ বলতে পারছে না।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) একাদশ জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশন সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিকাল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে নিয়ম রক্ষার এই সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার করোনাভাইরাসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে কত শক্তিশালী দেশ, কত অস্ত্র কোনো কিছুই কাজে লাগলো না। একটা ভাইরাস চোখে দেখা যায় না। তার কারণে আজ সারা বিশ্ব স্থবির, সারা বিশ্বের মানুষ আজ ঘরে বন্দি। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেছি। কিন্তু স্বাস্থ্যে যে এমন ঝড় বয়ে যাবে তা আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল। পূর্বে আমাদের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করেছি। সব রকম ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।
বিনা পয়সায় চিকিৎসা হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেকটি বন্দরে টেস্টের ব্যবস্থা রয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত মানুষকে সচেতন করা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাদ্যে যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সে ব্যবস্থা আমরা করেছি।
তিনি বলেন, ‘আজকে সারা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতিতে আমরা সংক্ষিপ্ত আকারে অধিবেশন বসাচ্ছি। এটি একটা বিশেষ অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল। করোনাভাইরাসে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এ মহামারি মানুষকে বন্দী করে ফেলেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমার কাছে দেশের মানুষের কল্যাণটাই সব থেকে বড়। তাই করোনা পরিস্থিতিতে উৎসবটা সেভাবে করিনি। ধরনের উৎসব রেডিও টেলিভিশন ও ডিজিটাল মাধ্যমে উদযাপন করা হচ্ছে।’
বৈশাখী নিউজ/ বিসি