গণতন্ত্র হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে: হাসনাত
গত ৩টি নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করে গণতন্ত্র হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ৭২-এর সংবিধান এখন অপ্রাসঙ্গিক।
গত ১৬ বছরে ৩টি নির্বাচন এই সংবিধানের ধারাবাহিকতার দোহায় দিয়েই করা হয়েছে। এখন ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আন্দোলনকারীদের সে সংবিধান বহন করা কি দায়িত্ব?
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে বাংলা অ্যাকাডেমিতে ব্রেইন ও আদর্শ প্রকাশনি আয়োজিত ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা, আসন্ন চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই আহ্বায়ক বলেন, শুধু মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দরকার নেই, দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতা দরকার। মত আগেও প্রকাশ করা যেতো, তবে সেটা ছিলো সহমত। তাই আমরা শুধু মত নয়, দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতা চাই।
তিনি বলেন, সরকারের উচিৎ বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা। আর সে জন্য সবার আগে আমাদের বিচারকাজগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য বাড়তি কিছু লাগবে না।
জার্মানিতেও কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে নাতস্যিদের বিভিন্ন জায়গা থেকে বের করে বিচার নিশ্চিত করা হয়েছে। বিভিন্ন দায়িত্ব থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ যারা ছিল তাদের খারিজ করে দিতে পারি না উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক বলেন, তারা যে নতুন করে বায়াত নিচ্ছে তাদের উপর কিভাবে বিশ্বাস করবো এটা নিশ্চিত করতে হবে।
যারা ১৬ বছর ধরে উপকারভোগী ছিল তারাই এখন বঞ্চিত লীগ হিসেবে সামনে আসছে। তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নাহয় আমরা সামগ্রিকভাবে অন্যায়ের শিকার হব।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধান আলী রিয়াজ, রাজনীতি বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, সাহেদ আলম, মনির হায়দার, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা, সারজিস আলম ও সাইয়্যেদ আব্দুল্লাহ।