কারামুক্ত হয়ে যা বললেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান

আপডেট: October 11, 2024 |
inbound3596378692455759718
print news

জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ২০ দিন কারাভোগের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি কারাগার থেকে নিজ বাড়ি সুনামগঞ্জ যান। সেখানে বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন দুইবারের মন্ত্রী মান্নান।

মামলা ও গ্রেপ্তার এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। এম এ মান্নান বলেন, ‘জুলাই এর ২৪ তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত আমি আমার গ্রামের বাড়ি শান্তিগঞ্জে অবস্থান করছি। মাঝে ২০ দিন কারাগারে ছিলাম। আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছিল সুনামগঞ্জের একটি মামলায়। ৪ আগস্ট নাকি সুনামগঞ্জে কী ঝামেলা হয়েছে।’

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমি গত তিন মাসে একবারও সুনামগঞ্জ শহরে যাইনি। সুনামগঞ্জে আমার কোনো ঘরবাড়ি নেই, আমি সেখানে বাস করি না।

আমি সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের কোনো নেতাও না। আমি সুনামগঞ্জ তথা বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতেও নেই। তবে হ্যাঁ, আমি আওয়ামী লীগকে সমর্থন করি।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী ছিলাম এটা ঠিক। কিন্তু সুনামগঞ্জের আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার সরাসরি কোনো যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু হঠাৎ দেখি আমার নামেও মামলা হলো।

তিনি বলেন, ‘আমি নির্ভয়ে বাড়িতেই ছিলাম। আমি পালাইনি, পালাব কেন? মামলা দায়েরের কিছুদিন পর ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ১১টায় সুনামগঞ্জের এসপি সাহেব এসে আমাকে ধরে নিয়ে গেলেন। সেদিন থেকে একটানা জেলে ছিলাম। প্রথমে সুনামগঞ্জের জেলে, পরে বাদাঘাটের জেলে ছিলাম। শেষ দুই দিন আমি ওসমানী মেডিকেলে অসুস্থতার জন্য ভর্তি ছিলাম। গতকাল আদালত আমাকে দয়া করে জামিন দিয়েছেন।’

সাবেক মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ঘুণাক্ষরেও ভাবিনি আমি জেলে যাব। এটা আমার দোষ হতে পারে, কারণ আমি বোকা। আমি মনে মনে কষ্ট পেয়েছি এই ভেবে যে, আমি কেন জেলে গেলাম। আমি কিছু করিনি তো। আর যে মামলায় আমি জেলে গেলাম সেই মামলা দোয়ারাবাজারের এক লোক করেছে। তাকে আমি চিনিই না। আর আমি ঘটনার দিন সুনামগঞ্জ শহরেই ছিলাম না।’

জামিন পাওয়ার বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাকে আদালত বিবেচনা করেছেন। জামিন মঞ্জুর করেছেন। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সুনামগঞ্জের সুশীল সমাজ, নিজ এলাকার মানুষ দোয়া করেছেন বলেই আমি জামিন পেয়েছি। যারা আমার জন্য মানববন্ধন করেছেন, দোয়া করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ।’

তার ফেরার খবরে আত্মীয়স্বজন ও কাছের মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে শান্তিগঞ্জের ওই বাড়িতে। তাদের খোঁজ-খবর নেওয়ার ব্যাপারটি ভালো লেগেছে বলে জানান এম এ মান্নান।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর