ভারতের উত্তরপ্রদেশে বাংলাদেশ -ভারতের খেলায় থাকছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা
২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কানপুরে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। কানপুর টেস্টকে ঘিরে আগেই হিন্দু মহাসভা নামের এক সংগঠন হুমকি দিয়েছিলো। গত পরশু গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে যাওয়ার রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদের পালন করেছে তারা। ম্যাচের দিন অবরোধও ঢেকেছে সংগঠনটি।
এবার এই ম্যাচকে ঘিরে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন বাংলাদেশ দলকে নিরাপত্তা দিচ্ছে।
হিন্দু মহাসভার দাবি, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। প্রতিবাদে তারা কানপুরে দ্বিতীয় টেস্ট ও গোয়ালিয়রে টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হতে দিতে চায় না।তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সংগঠনটির দাবি আমলে নেয়নি।দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার ও উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকারও কঠোরভাবে হিন্দু মহাসভাকে দমন করে খেলা আয়োজন করছে। ইতোমধ্যে সংগঠনটির কয়েকজন কর্মীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
আজ সকালে গ্রিন পার্কে অনুশীলন করছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তাদের অনুশীলনে আছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কানপুরের ডিসিপি রাজেশ শ্রীভাস্তাব বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিককে জানিয়েছেন টেস্ট ঘিরে তারা যেভাবে সাজিয়েছেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ‘এখানে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। একটা হচ্ছে আইসোলেশন কর্ডন। যেটা মাঠ, পিচ ও স্পর্শকাতর এলাকাকে সুরক্ষা করবে। মাঝের আরেক স্তর থাকবে প্যাভিলিয়নে। এরপর বাইরে রাস্তার দিকে থাকবে আরেক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এক হাজারের বেশি পুলিশ কর্মকর্তা বিভিন্ন বিভাগের নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, দুই দলকেই সমান নিরাপত্তা বলয়ের ভেতর রাখা হবে।
একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সব দেখভাল করা হবে। পুরো এলাকা ঘিরে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি থাকবে বলে জানান তিনি।
টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে হিন্দু মহাসভার হুমকি নিয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, ‘আমার জয় শাহর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমাদের সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।’