ভারত থেকে এজেন্ট এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে সালমান শাহকে : নীলা চৌধুরী

আপডেট: September 6, 2024 |

ক্ষণজন্মা ছিলেন চলচ্চিত্র তারকা সালমান শাহ। ক্যারিয়ার যখন শুরু। মাত্র ২৭ টি ছবি দিয়ে যখন ভক্তদের প্রিয় হয়ে উঠছেন। তখনই খবর আছে বিদায় নিয়েছেন এই তারকা।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের রূপালী পর্দার নব্বইয়ের দশকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও সুদর্শন অভিনেতা বলা হয় তাকে। সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে আসেন তিনি।
প্রথম সিনেমাতে অভিনয় করে ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। সালমান শাহ মাত্র ২৫ বছর বেঁচে ছিলেন।১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রহস্যজনক মৃত্যু হয় এ অভিনেতার। এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের শুরু হয়। আজ তার মৃত্যু দিন। বেঁচে থাকলে তার বয়স হতো ৫৩ বছর।মারা যাওয়ার ২৮ বছরেও হয়নি তার মৃত্যুর রহস্যর সমাধান। হয়নি বিচারও।
কিছুদিন আগে সাবেক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার জানান, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। তাকে খুন করা হয়নি। চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্কের কারণে স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ থেকেই আত্মহত্যা করেছেন এ নায়ক।
এদিকে গতকাল দেশের একটি টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে এ অভিনেতার মা নীলা চৌধুরী মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে ফের ছেলে হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেনি, ভারত থেকে এজেন্ট এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার সম্পর্কে নীলা চৌধুরীর ভাষ্য, ‘তাদের সঙ্গে বনজ কুমারের সম্পৃক্ততা ছিল। এই বনজ কুমারকে তারা অনেক টাকা দিয়েছে। সালমান শাহ মৃত্যুর পর আমরা জেনেছিলাম যে, ভারতীয় কাউকে ভাড়া করে এনে সালমান শাহকে হত্যা করিয়েছে তারা। সুকুমার রঞ্জন সে সময় সংসদ সদস্য ছিলেন, তিনি একজন ভারতীয় এজেন্ট, ‘র’। তিনি আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন।
নীলা চৌধুরী বলেন, ‘আগে একটা মাফিয়ার আন্ডারে ছিলাম। এখন আমরা মুক্ত এ হত্যার বিচার প্রয়োজন। আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।’
সালমান শাহর সাবেক স্ত্রী সামিরার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সামিরা তিনটি বিয়ে করল। সে যে খারাপ তা প্রমাণ হয়ে গেছে। একটি ঘরে থাকতে পারেনি সে। তার বাবাও অনেক কিছু করেছে। ইদানীং তাদের দেখা যাচ্ছে না। তার মা, সে সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামি। অথচ একটা আসামিকেও কখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো না। তাদের আটক করা হলো না। হত্যা মামলার আসামি হলে তো সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হয়। এরপর আইন যা বলবে তাই হবে। কিন্তু তা হয়নি।’

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর