অন্ধ্র-তেলেঙ্গানায় বন্যা, ১৯ জনের মৃত্যু

আপডেট: September 2, 2024 |

ভারতের তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া এবং গুন্টুর শহরে টানা বৃষ্টির জেরে বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে নদী ও বিভিন্ন বাঁধ উপচে পড়েছে। বিজয়ওয়াড়া শহরে দুই দশক ধরে এমন রেকর্ড বৃষ্টি হয়নি।

টানা বৃষ্টির জেরে হায়দরাবাদে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শহরের বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পানির নিচে ডুবে গেছে। বহু চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টির কারণে বহু ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশে তিন জনের খোঁজ এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। বন্যার পানির তোড়ে তারা ভেসে গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের খোঁজ চলছে। এছাড়া, তেলেঙ্গানাতেও একজন নিখোঁজ।

বন্যার কারণে দক্ষিণ-মধ্য রেল ১৪০টি ট্রেন বাতিল করেছে। ৯৭টি ট্রেনের গতিপথ বদল করা হয়েছে। ট্রেন বাতিলের কারণে বহু যাত্রী এবং পর্যটক সমস্যায় পড়েছেন।

অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার বিভিন্ন স্টেশনে ছ’হাজারের বেশি মানুষ আটকে রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

দুই রাজ্যেই উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উপকূলের বন্যাকবলিত এলাকা থেকে অন্তত ১৭ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তাদের আশ্রয়ের জন্য বহু ত্রাণশিবিরও খোলা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় ধস নেমেছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া শহর।

শুধু ওই শহরেই দু’লক্ষের বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিজয়ওয়াড়ার মোগলরাজপুরমে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের।

বৃষ্টির জেরে পাহাড় থেকে দু’টি বাড়ির ওপরে বড় পাথর গড়িয়ে পড়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অন্ধ্র ও তেলাঙ্গানার বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ নিতে ইতিমধ্যে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

রোববার রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন তিনি।

কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দুই রাজ্যকেই বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর