রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনৈতিকভাবে চাকরীতে পুনর্বহালের সুযোগ খুঁজছে কর্মচারীর একাংশ

আপডেট: August 29, 2024 |

ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা বাংলাদেশের প্রথম পাঁচ তারকা হোটেল হিসেবে দীর্ঘদিন দেশের পর্যটন খাতে দক্ষতার সাথে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

সম্প্রতি “ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা হোটেলের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে”শিরোনামে বিকৃত তথ্য উপস্থাপন করে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এক কুচক্রী মহল।

ওই বিশৃঙ্খল ও অযৌক্তিক সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন।

ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন বলছে, সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকারীরা বিভিন্ন আর্থিক দুর্নীতি, নারী কেলেঙ্কারী, চুরি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে যথাযথ তদন্তে দোষী প্রমাণীত হয়ে চাকুরীচ্যুত হয়েছেন।

তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অত্র প্রতিষ্ঠান এবং এর একাধিক সম্মানিত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, বিকৃত ও কল্পনাপ্রসূত অভিযোগ এনে দীর্ঘদিনের অর্জিত ব্যবসায়িক সুনাম, ব্র্যান্ড ভ্যালু ও খ্যাতি নষ্ট করার অপচেষ্টা চালিয়েছে।

একই সাথে তারা দেশের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনৈতিকভাবে চাকুরীতে পুনর্বহালের সুযোগ খুঁজছে।

তারা ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার সামনে জমায়েত করার মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওপর অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগ করে তাদেরকে অবিলম্বে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অশুভ পরিকল্পনাও করছে।

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনের শেষে দেখা গিয়েছে উল্লেখিত ব্যক্তিরা তাদের কতিপয় অন্যায্য, ভ্রান্ত ও অযৌক্তিক দাবী-দাওয়ার ভিত্তিতে অনৈতিকভাবে আর্থিক লাভবান হওয়ার জন্য হোটেলে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছেন।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড (বিএসএল) -এর ব্যবস্থাপনাধীন তৎকালীন রূপসী বাংলা হোটেল (বর্তমান ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা) সংস্কারের সময় হোটেলের অধিকাংশ কর্মচারী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুসারে হোটেলের সংস্কার কাজ ২০১৮ সালে সম্পন্ন হওয়ার পরে পর্যায়ক্রমে বিআিইসিসিতে কর্মরত অত্র হোটেলের সকল কর্মচারীদের হোটেলে ফিরিয়ে আনা হলেও বিআইসিসি ব্যস্থাপনা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিআইসিসিতে ১৯ জন কর্মচারীকে নিয়োগ এবং ২২ জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো, যাদের চাকরি জানুয়ারি ২০২৪ সালে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাথে লীজ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাদের চাকুরীর অবসান ঘটে ও তাদের ন্যয্য আইনগত পাওনাদি পরিশোধ করা হয়।

উক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১০ জনকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় নতুনভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং বাকিদের নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। তাই তাদের সংঙ্গে কোন প্রকার বৈষম্য কিংবা অন্যায় করা হয়েছে বলে আমরা ট্রেড ইউনিয়ন মনে করি না।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সন্নিকটে অবস্থিত এই হোটেলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, তাদের সাথে আগত সাংবাদিকবৃন্দ এখানে অবস্থান করে থাকেন।

ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা হতে আর্থিক অনিয়মের দায়ে মনিরুজ্জামান হাওলাদারের নেতৃত্বে নুরজ্জামান এবং তার অনুসারীদের এ ধরণের কার্যক্রম বিএসএল ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ।

উল্লেখ্য যে, তারা যে কোন সময় হোটেলে প্রবেশ করতে পারে ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে।

একই সংগে তাদের কার্যক্রম ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার স্বাভাবিক পরিচালনা ব্যাহত করছে যার কারণে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম হানি ঘটছে।

‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের ‘ সাবেক কর্মচারী জনাব নুরুজ্জামান এর নেতৃত্বে এবং ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার বিভিন্ন সময়ে কতিপয় চাকুরীচ্যুত কর্মচারী হোটেলটির সম্পর্কে ক্রমাগত মিথ্যাচার করে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্পর্শকাতর ও আপত্তিকর ভাষায় বক্তব্য প্রচার করে গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

এ ধরনের কার্যক্রম বর্তমান সরকারকে বিব্রত করার অপপ্রয়াস কিনা এবং চলমান বিভিন্ন আন্দোলনের সুযোগে এ ধরনের কার্যক্রম করে বিগত সরকারের কোন বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবাযয়ন করছে কিনা সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য দেশের সকল ছাত্র জনতা এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ করছি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর