দ্বিতীয় টেষ্টে জয়ের লক্ষ্যে অনুশীলনে বাংলাদেশ

আপডেট: August 29, 2024 |

কোনো দিবাস্বপ্ন নয়। কোনো আকাশ-কুসুম কল্পনাও নয়। প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে হারানোর পর বাংলাদেশ এখন সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছে। নাজমুল হোসেন শান্তদের দলীয় বৈঠকে সিরিজ ড্র কিংবা রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্ট ড্র করা নিয়ে আলোচনা হয়নি। সবার চোখে জয়ের স্বপ্ন।
পুরো স্কোয়াড, টিম ম্যানেজমেন্ট টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই ম্যাচটাও জিততে চায়। খেলতে চায় ইতিবাচক মানসিকতায়। প্রথম টেস্ট শেষে পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ পাঁচদিন শৃঙ্খল পারফরম্যান্স করেছে। ইতিবাচক মানসিকতায় ছিল।’
একই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে মুখিয়ে। ফলাফল কি হবে তা আগের থেকেই ভাবছে না দল। শান্ত, সাকিব, মুশফিক, লিটন, শরিফুলরা ২২ গজে কেবল নিজেদের প্রক্রিয়া অনুযায়ী ঠিকঠাক কাজ করতে চায়। তাতে পারফরম্যান্সের সঙ্গে ফলাফলও নিজেদের পক্ষে আসবে বলে বিশ্বাস করে গোটা দল।
এই ম্যাচের আগে একদিন অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছে পুরো দল। দুইদিন বৃষ্টিতে পণ্ড হয়। তাতে খুব বেশি ক্ষতি হয়েছে বলা যাবে না। সেদিন দলের ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল। আজও অনুশীলন করতে এসে বৃষ্টির মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। বাতিল করা হয়েছে অনুশীলন। তবুও নিজেদের যতটা পেরেছে প্রস্তুত করেছে শান্তর দল। এখন কেবল মাঠে নামার অপেক্ষা।
একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। তবে উইকেট পাল্টে যাচ্ছে। সফরকারীদের জন্য সবুজাভ উইকেট বানিয়েছে স্বাগতিকরা। গতকাল দুই দলের ক্রিকেটাররা মাঠে ঢুকে উইকেট দেখেছেন। বোঝার চেষ্টা করেছেন উইকেট কেমন আচরণ করতে পারে। সেই ধারণা থেকে রণকৌশল সাজাবে দুই দল।
দ্বিতীয় টেস্টের পিচ পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দল।
প্রথম টেস্টের আগে পাকিস্তানের কাছে ১২ টেস্টে হারের রেকর্ড ছিল বাংলাদেশের। ১ ড্র থাকলে জিততে পারেননি কোনো ম্যাচ। রেকর্ড পরিবর্তন করা যায়- এমন বিশ্বাস থেকে মাঠে নেমে দৃশ্যপট পরিবর্তন করে বাংলাদেশ। এবার সিরিজ জিততে সেভাবেই মাঠে নামতে যাচ্ছে টাইগাররা।এবারও রেকর্ড বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলছে না। ২৪ বছরে বাংলাদেশ টেস্ট জিতেছে কেবল ২০টি। সিরিজ জয় ১০টি। এর মধ্যে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে ৬০টি। যার মধ্যে জিতেছে ৩টি, ড্র করেছে ৯টি। বাকি সবগুলোতে হার।পরিসংখ্যান বলছে, দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে যে ৩টি জিতেছে বাংলাদেশ, সবকটিতেই প্রথম ম্যাচ জিতেছিল। এছাড়া প্রথম ম্যাচ জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে সিরিজ ড্র করেছে সাতটি। ফলে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে কেমন ফল হতে পারে সেই ধারণা অতীতের রেকর্ড থেকে পাওয়া গেলেও রেকর্ড পরিবর্তন করা যায় কথাটা মনে আছে নিশ্চয়ই।প্রথম টেস্টে দলের ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। পুরোপুরি ঐক্যবদ্ধ পারফরম্যান্সে দল জিতেছে। স্লিপ কর্ডনে ক্যাচিং, উইকেটের পেছনে লিটনের বিশ্বস্ত গ্লাভস বেশ কয়েকবার সাফল্যে ভাসিয়েছে। ওপেনিংয়ে সাদমানের ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিং, মিডল অর্ডারে মুমিনুল ও মুশফিকের বিশ্বস্ত ব্যাট, লিটনের পাল্টা আক্রমণ ও শেষ দিকে মিরাজের বিরাট অবদান দলের রান নিয়ে যায় চূড়ায়।বোলিংয়ে তিন পেসারের সঙ্গে সাকিব ও মিরাজের স্পিন বিষে নীল হয়েছে স্বাগতিকরা। দলের এই একতাবদ্ধ পারফরম্যান্সের কারণে পাকিস্তান দূর্গ জয় করা সম্ভব হয়েছে। এবার তাহলে সিরিজ জয়! আরেকটি শৃঙ্খল পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ ম্যাচটা ড্র করতে পারলেই সিরিজ জিতে যাবে। আর জয়ের সুযোগ পেলে কেন হাতছাড়া করবে?

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর