শেখ হাসিনার পরবর্তী ‘আশ্রয়স্থল’ হতে পারে কোন দেশ
ছাত্র-জনতার গণবিক্ষোভে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি স্বল্প সময়ের জন্য আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারত। দিল্লি থেকে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন বলে সংবাদ প্রকাশ হয়।
গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে ভারতে অবস্থান করলেও তাঁর চূড়ান্ত গন্তব্য কোথায় হবে, তা এখনো নিশ্চতভাবে জানা যায়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে এরই মধ্যে ব্যর্থ হয়েছেন শেখ হাসিনা। এখন তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাই, সৌদি আরব অথবা ফিনল্যান্ডে আশ্রয় নেয়ার কথা ভাবছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গেছে।
তবে ভারতীয় আরেক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘আমার মা কোথাও আশ্রয় চাননি। আমি ওয়াশিংটনে, খালা লন্ডনে, বোন দিল্লিতে থাকে। মা এসব জায়গায় ভ্রমণের মধ্যেও থাকতে পারেন।’
টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের প্রতিবেদনে একই ধরনের তথ্য জানিয়েছে— শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যরা যেসব দেশে থাকেন, সেসব দেশে তিনি ভ্রমণ করতে পারেন, যেমন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফিনল্যান্ড ও ভারত।
এদিকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান নিউজ-১৮ বাংলাদেশের বিরোধী দলের বরাত দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে। এই দাবি কতটুকু সত্য, সে ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতের এক কূটনৈতিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘হাসিনাকে কূটনৈতিকভাবে জানানো হয়ে যে, ঢাকার পরবর্তী সরকারের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে— এ কারণে তাঁর ভারতে অবস্থান সাময়িক হতে হবে।’ অর্থাৎ ভারতে তিনি স্থায়ীভাবে থাকতে পারছেন না।
মঙ্গলবার ভারতের রাজ্যসভা ও লোকসভায় বক্তব্য দেয়ার সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, শেখ হাসিনাকে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ঠিক করতে আরও কিছুটা সময় দেবে ভারত। তবে কতদিন পর্যন্ত তাঁকে থাকতে দেয়া হবে, সে ব্যাপারে কিছু বলেননি জয়শঙ্কর।