পুলিশের গুলিতে নিহত সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসেল মাহমুদ

আপডেট: August 6, 2024 |

এসইউ প্রতিনিধি : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সোমবার শনির আখড়া থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করে সাধারণ মানুষ। সেখান থেকে মিছিলটি শাহবাগের উদ্দেশে রওনা হয়। এই আনন্দ মিছিলটি যাত্রাবাড়ী অতিক্রম করা কালে হঠাৎ গুলি শুরু করে যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ। এতে সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাসেল মাহমুদ গুলিবিদ্ধ হন। উপস্থিত জনতা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর থেকেই রাসেলের খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার ও বন্ধুরা।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। সোমবার বিকেল থেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে তাকে খোঁজা হলেও পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে তিন সহপাঠী মঙ্গলবার সকালে তার লাশ শনাক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার ব্যাবস্থা করে।

রাসেলের সহপাঠি তানজিদা খানম মিল্কি জানান, আমরা বিকেল থেকেই রাসেলের খোঁজ পাচ্ছিলাম না। তারপর রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে খোঁজাখুঁজি করি। কয়েকবার ঢাকা মেডিকেলেও গিয়ে খোঁজ পাইনি। এরপর আজ সকালে রাসেলের সন্ধান পাই ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে। আমরা আমাদের বন্ধুর এমন অকাল মৃত্যুতে সবাই শোকাহত। সবাই আমাদের সহপাঠী শহীদ রাসেলের জন্য দোয়া করবেন।

নিহত রাসেল মাহমুদের দেশের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপার চর কাজল ইউনিউয়নে। তার বাবা স্থানীয় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। মরদেহ আগামীকাল ৭ তারিখ সকাল ১০ টায় জানাযা শেষে নিজ গ্রামে দাফন করা হবে।

এদিকে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাসেল মাহমুদের মৃত্যুতে শোকাহত সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। তারা আজ এক শোক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ নিহত রাসেল মাহমুদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাপে সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় বেলা আড়াইটা নাগাদ সামরিক হেলিকপ্টারে ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনা ভারতের উদ্দেশে রওনা হন।এরপর সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকর-উজ-জামান জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। রাজনৈতিক এই ক্রান্তিকালে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে। বিচার হবে সব হত্যার। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা খুবই ভালো হয়েছে বলেও জানান সেনা প্রধান। এরপর সারাদেশে শুরু হয় বিগত দিনে ক্ষুব্ধ জনতার আনন্দ মিছিল।

 

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর