রাজধানীর মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ

আপডেট: August 2, 2024 |

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সারা দেশের মসজিদে মসজিদে জুমার নামাজের পরে দোয়া এবং মন্দির, গির্জাসহ সব প্রার্থনালয়ে প্রার্থনা ও জুমার নামাজের শেষে ছাত্র-জনতার গণমিছিল বের হবে।

তাদের কর্মসূচিতে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের একটি সাঁজোয়া যান ও প্রিজনভ্যান।

শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুরে ‌বি‌ক্ষোভ মি‌ছিলকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম, রাজধানীর সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড ও উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য উপস্থিত রয়েছেন। পাশাপাশি এপিবিএন সদস্যরাও উপস্থিত আছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও অন্যান্য সময়ের মতো সায়েন্সল্যাব এলাকায় ভিড় নেই। এর আশপাশের নিউমার্কেট, পুরো এলিফ্যান্ট রোড এলাকাও অনেকটাই ফাঁকা।

এর মধ্যে সায়েন্সল্যাব পুলিশ বক্সের সামনে ও মিরপুর সড়কে পুলিশ এবং এলিফ্যান্ট রোডে বিজিবি সদস্যদের অবস্থান দেখা গেছে।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, মার্কেট খুললেও তেমন একটা ক্রেতার দেখা নেই বলে জানিয়েছেন দোকানি এবং ব্যবসায়ীরা।

সাইন্সল্যাব মোড়ের বাইতুল মামুর জামে মসজিদ থে‌কে জুমার নামাজের পর গণমিছিলের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

গণমিছিলে ঢাকা কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন।

সে কারণেই যে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

অন্যদিকে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে দায়িত্বের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সবকিছুর নিরাপত্তার দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমরা এখানে দায়িত্ব পালন করছি।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরিচালিত ‘কোটা পুনর্বহাল চলবে না’ টেলিগ্রাম গ্রুপে অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের এই ঘোষণা দেন।

বিবৃতিতে, শ্রমিক, পেশাজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, বুদ্ধিজীবী, আলেম-ওলামাসহ বাংলাদেশের সব স্তরের নাগরিকদের আগামীকালের ‘প্রার্থনা ও ছাত্র জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচিকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সফল করার আহ্বান জানানো হয়।

সেখানে মসজিদের ইমাম ও খতিবদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, আপনারা জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে চুপ থাকবেন না। মসজিদের মিম্বর থেকে প্রতিবাদের ঘোষণা দিন।

মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আপনারাই জাতির দুর্দিনের কাণ্ডারি। এই দুঃসময়ে ঘরে বসে না থেকে গণহত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং ৯ দফা আদায়ের দাবিতে বাদ জুমা মসজিদ ও মাদ্রাসা থেকে ‘ছাত্র জনতার গণমিছিল’ মিছিল বের করুন।

শিক্ষকদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, আজ ছাত্রসমাজ ঘরে শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না। প্রতিমুহূর্তে কাটাতে হচ্ছে গ্রেপ্তার ও গুম হওয়ার আতঙ্কে।

শহীদ ও গুম হয়ে যাওয়া মানুষের স্বজনের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে বাংলার আকাশ বাতাস।

এছাড়া, আগামীর বাংলাদেশ গড়ার কারিগর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকদের ওপর ক্যাম্পাসের ভেতরে হামলা করেছে পুলিশ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শ্রদ্ধেয় শিক্ষিকা শেহরীন আমিন মোনামী ও নুসরাত জাহান চৌধুরীর গায়েও হাত তুলেছে পুলিশের কিছু কর্মকর্তা। এই ঘৃণ্য হামলার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর