সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না : আইনমন্ত্রী

আপডেট: July 16, 2024 |

‘কোটা সংস্কার নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে কোনো কিছুই করবে না সরকার। আদালতে যখন একটি বিষয় যায়, তখন সরকার অপেক্ষা করে আদালত কী বলেন, তারপর সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার সময় হয়।

তাই কোটার বিষয়ে সরকার আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে এবং সর্বোচ্চ আদালতকে সম্মান করবে। কোটার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দেবেন, সরকার সেটা বিবেচনা করবে।’

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘বিচারহীনতায় বাংলাদেশ: বেআইনি আইন ইনডেমনিটি ও কারারুদ্ধ জননেত্রী’ শীর্ষক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করেন। এরপর কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে মামলা করেন। এখন যারা কোটা আন্দোলন করছেন, তারা তো হাইকোর্টে যাননি।

হঠাৎ এক দিন যখন হাইকোর্টের রায়ের কথা পত্রিকায় বের হয়েছে, তখন তারা আন্দোলনে নেমে পড়েছেন।

পরে তারা হাইকোর্টে না গিয়ে রাস্তায় আন্দোলনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদকারী ছাত্রছাত্রীরা চাইলে আইনজীবীর মাধ্যমে তাদের বক্তব্য আদালতের সামনে তুলে ধরতে পারেন।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছেন, তারা যদি আমি কে, তুমি কে? আমরা বাঙালি, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলতেন তাহলে আমি অবশ্যই বলতাম তারা সঠিক পথে আছেন।

যৌক্তিক কথা জননেত্রী শেখ হাসিনা শুনবেন। জনগণের জন্য যেটা ভালো হয়, প্রধানমন্ত্রী সেটা করবেন। কিন্তু সরকার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবে না।’

তিনি বলেন, ‘ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাংলাদেশের অনেক ক্ষতি করেছে। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাংলাদেশে বিচারহীনতার জন্ম দিয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট করে দেওয়ার হাতিয়ার হয়েছিল। এই অধ্যাদেশ জন্ম দিয়েছিল বাংলাদেশে রাজাকার, আলবদর এবং নিজামী-মুজাহিদরাই থাকবে, মুক্তিযোদ্ধারা থাকবেন না।

শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর এই অর্ডিন্যান্স বাতিল করে প্রমাণ করে দেন, বাংলাদেশের জনগণ এই অর্ডিন্যান্স সহ্য করবে না।’

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস।

সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য তারানা হালিম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, বঙ্গবন্ধু গবেষক হাফিজুর রহমান ও সাংবাদিক নেতা মানিক লাল ঘোষ।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর