কেন্দুয়ায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার

আপডেট: July 14, 2024 |

মো: হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণার কেন্দুুয়ায় জুয়ার বোর্ডে অভিযানের সময় পুলিশের তাড়া খেয়ে  হালিম মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়।

রবিবার সকালে কৈজানি নদীর মদন উপজেলার অংশের বাঁশরি এলাকায় নদীতে নিখোঁজ যুবকের লাশ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয় লোকজন।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার কান্দিউড়া ইউপির তাম্বূলিপাড়া এলাকার কৈজানি নদীতে নিখোঁজ হওয়ার পর শনিবার ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান করে।

নিখোঁজ হালিম মিয়া উপজেলার সান্দিকোনার আব্দুল হামিদের ( সুনু) ছেলে।

নিখোঁজ হালিমের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া থানা ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার লিডার আশরাফ আলী।

স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তাম্বূলিপাড়া এলাকায় কৈজানি নদীতে ট্রলারে জুয়ার বোর্ড বসিয়ে জুয়া খেলছিল।

কেন্দুুয়া থানার পুলিশ খবর পেয়ে ওই জুয়ার বোর্ডে হানা দেয়। এসময় জুয়ারিরা পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে নদীতে ঝাঁপ দেয়। ঝাঁপ দেওয়া জুয়ারিদের মধ্যে হালিম (৩৫) নামে এক যুবক নিখোঁজ হয়।

ঘটনার পর থেকে পরিবার ও স্বজনরা রাতভর বিভিন্ন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সকাল বেলা কেন্দুুয়া ফায়ার সার্ভিস খবর দেন।

কেন্দুুয়া ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় ময়মনসিংহ থেকে একদল ডুবুরি এসে উদ্ধার তৎপরতা চালান। শনিবার রাতে অভিযান শেষ হলেও হালিমের খুঁজ পাওয়া যায় নি।

রবিবার সকাল ৯ টার দিকে পাশের উপজেলা মদনের বাঁশরী এলাকার কৈজানি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।

মদন থানার ওসি তদন্ত মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, আমি ঘটনাস্থলে বাঁশরীতে আছে । শুক্রবার নিখোঁজ হওয়া হালিমের লাশ হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে।

সুরতলের রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা মর্গে প্রেরণ করা হবে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর