বগুড়ায় নিখোঁজ একই পরিবারের ৭ সদস্যকে রাঙামাটি থেকে উদ্ধার

আপডেট: July 9, 2024 |

শাহজাহান আলী,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়া জেলা শহরের নারুলী এলাকা থেকে রহস্যজনকভাবে একই পরিবারের নিখোঁজ সাতজনকে উদ্ধার করেছ পুলিশ অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)।

সোমবার (০৮ জুলাই) রাঙামাটি জেলা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পাড়া এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

সিবিআই এর দাবি, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আয় রোজগার করে নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার উদ্দেশ্যে কাউকে না জানিয়ে রাঙামাটি জেলায় চলে গিয়েছিল তারা।

উদ্ধারকৃত সতজন হলেন- লালমনিহাট জেলার খোঁচবাড়ি এলাকার ফাতেমা বেগম,তার ছেলে বিক্রম আলী,ছোট মেয়ে রনা খাতুন,বড় মেয়ে রুমি বেগম,তার নাতনী বৃষ্টি খাতুন এবং যমজ নাতি হাসান ও হোসেন।

তবে তারা গত ১০ বছর ধরে বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো।

৯ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে বগুড়ার সিবিআই কার্যালয়ে ইন্সপেক্টর জাহিদ হোসেন মন্ডল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

এর আগে গত ৩ জুলাই কাউকে কিছু না জানিয়ে ফাতেমা বেগম তার ছেলে, মেয়ে নাতী ও নাতনীসহ মোট সাতজন বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।

তাদের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট জেলায়। তাদের অন্যান্য আত্ময়ী স্বজনদের কাছে খোঁজ করেও তাদের কোনো সন্ধান না পেয়ে ফাতেমার স্বামী আব্দুর রহমান বগুড়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-৫১০,তারিখ ০৬/০৭/২৪ করেন।

পরে সিবিআই পুলিশ জিডির সূত্র ধরে ছায়া তদন্ত শুরু করে।

ইন্সপেক্টর জাহিদ হোসেন জানান,ফাতেমা ও রুমি বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান,তাদের স্বামী বিভিন্ন সময় তাদেরকে আয় রোজগার নিয়ে কটু কথা শোনাতো।

তাদেরকে স্বাবলম্বী হতেও দিত না।এছাড়ও তাদেরকে মাঝে মধ্যেই মানসিক নির্যাতন চালাতো।

এ কারণে তারা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সকলের অগোচরে নিজেরা আয় রোজগার করে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য কাউকে কিছু না জানিয়ে তারা রাঙামাটি জেলার বুড়িটহাট এলাকায় ফাতেমার নানার বাড়ীতে পালিয়ে যায় এবং সেখানে কাজের সন্ধান করতে থাকে।

তিনি আরও জানান,ফাতেমার পরিবার দরিদ্র। ফাতেমা এর আগেও অনেকবার রাঙামাটিতে গিয়েছিল। এজন্য সেখানে তার পথঘাট পরিচিত ছিল।

এর মধ্যে তিনি সেখানে অনেকের কাজের ব্যবস্হাও করছির।

রাঙামাটি যাওয়ার পর লালমনিরহাটেও একবার গিয়েছিল ফাতেমা। কিন্তু তাদের স্বামীর নির্যাতনের কারণে তারা কোথায় আছে সেটি গোপন রাখে, আর তাদের মূলত পরিকল্পনা ছিল রাঙামাটি গিয়ে কাজকর্ম করে সেখানেই স্হায়ী বাসিন্দা হয়ে বসবাস করার।

ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তাদের ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর