অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে , চরম ভোগান্তিতে পথচারী ও চালকেরা

আপডেট: July 6, 2024 |

জাহাঙ্গীর আলম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: অল্প বৃষ্টি হলেই জমে থাকে পানি,শুকায় না এক মাসেও । চরম ভোগান্তি নিয়ে চলে যানবাহন সহ সাধারণ পথচারী। পানিনিষ্কাশনের ড্রেনেজ কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টিতে পানি জমে যায় প্রায় হাঁটু পর্যন্ত। দীর্ঘদিন জমে থাকা কাদাযুক্ত পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে লোকজন ও যানবাহনকে।

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ – পীরগঞ্জ সড়কের একমাত্র যোগাযোগের সড়কটি কাতিহার বাজারের মসজিদ মার্কেট থেকে প্রায় দুই শো মিটার বেহাল দশা হয়ে পড়েছে।সড়কে অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হাজার হাজার পথচারীসহ যানবাহন চালকেরা।

৬ জুলাই (শনিবার) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাতিহার উচ্চ বিদ্যালয়ের গেট থেকে মসজিদ মার্কেট পর্যন্ত প্রায় দুই শো মিটার এই সড়কে কাদাযুক্ত বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। সড়কের দুই পাশে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

কাদাযুক্ত বৃষ্টির পানি মাড়িয়ে লোকজন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চলাচল করছেন। পানির মধ্য দিয়ে যানবাহন চলাচলের সময় পানি ছিটে লোকজনের শরীরে যাচ্ছে।

সড়কের দুই পাশে স্থাপনা থাকায় পানিনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে বৃষ্টি হলেই বাজারের বেশির ভাগ পানি সড়কে জমে থাকে। এ পানি শুকাতে বেশ কয়েক দিন সময় লাগে।

স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বৃহত্তম সাপ্তাহিক শনিবার বাজার বসে কাতিহার হাটে। এখানে পশু, পাখি, ধান,পাট, কাপড় চোপড়, সাইকেল সহ সবধরনের জিনিস এই বাজারে বেচা কেনা হয়।

ফলে দুরদুরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এই বাজারে।এই বাজার থেকে সরকার প্রতিবছর প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকার রাজস্ব পায়।সামান্য বৃষ্টি হলেই পাকা সড়কে পানি জমে।

সেই পানি দু-এক দিনের মধ্যে নামে না। পানিনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে কাদাযুক্ত হয়ে যায়। সারা বছর দুর্ভোগে পড়েন ওই সড়কে চলাচলকারী লোকজন ও যানবাহনের চালকেরা।

বর্ষা মৌসুম এলে তো কোন কথাই নেই। নেকমরদ থেকে পীরগঞ্জ উপজেলা যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। প্রতিদিন এ সড়কে শতাধিক যানবাহন চলাচল করে।

পানি জমে থাকার কারণে পথচারী ও চালকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটি সংস্কার করা অত্যন্ত জরুরি বলে দাবি করেছেন তারা।

ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চালক এনামুল হক বলেন, যাত্রী নিয়ে প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে পীরগঞ্জ রাণীশংকৈল যাওয়া আসা করি কাতিহার বাজারের প্রবেশ মুখে শুধু এ জায়গায় সমস্যা।

একটু বৃষ্টি হলেই এ জায়গায় হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে থাকে। এক দিনের মধ্যে পানি আর কাদায় একাকার হয়ে যায়।

পানি জমে থাকায় এ জায়গায় সড়কটি বারবার খানাখন্দ হয়। পানি জমে থাকার কারণে এ জায়গায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ জায়গার পানি নেমে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলেই আর পানি জমতো না।

কাতিহার উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হুমায়ূন কবির (বাবুল) জানান, নেকমরদ থেকে আসা পীরগঞ্জ উপজেলা যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি।

এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ডিস্ট্রিক্ট গাড়ি গুলো আম, ভুট্টা, ধান চাল সহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যাতায়াত করে। অল্প বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমে থাকে।

দীর্ঘদিন পানি জমে থাকায় জায়গাটিতে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে।রাস্তাটা দ্রুত সংস্কার না করলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে ।

স্থানীয় দোকানদার টংকনাথ রায় বলেন, ‘বাজারের সব পানি এসে এ জায়গায় জমা হয়। পানি বের হওয়ার কোনো পথ নেই। সড়কের দুই পাশে উঁচু দোকানপাট।

দুই পাশ থেকে মাটি জমে কাদার সৃষ্টি হয়েছে। পানি জমে থাকায় দোকানে ক্রেতাও আসতে চান না। এ জায়গায় যদি পানি জমে না থাকত, তাহলে আমাদের ব্যবসাও ভালো হতো।’

এবিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান জানান, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর