৪৮ বছরেও চাকরি নেওয়া যায় বানারীপাড়া পৌরসভায়!

আপডেট: July 4, 2024 |

শফিক শাহিন, বানারীপাড়া প্রতিনিধি:  ৪৮ বছর বয়সে এসে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। যিনি মোঃ তাজুল ইসলাম সূক্ষ্ম জালিয়াতির মাধ্যমে ৩২ বছর বয়স বানিয়ে চাকরি নিয়েছেন। তার  জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জন্মগ্রহণের তারিখ ১১/০২/১৯৭৫, যার সিরিয়াল নং ০৬০৯৩২৭৮৩২৩৮। এর পর তিনি আরেকটি জাতীয় পরিচয়পত্রে সংশোধনে ১/১২/১৯৯০ সালে জন্মগ্রহ করেন যার সিরিয়াল নং ০৬০৯৩২০০০৪৩৭।  তিনি ৩য় বার সংশোধন করে ১/১২/১৯৯২ সালে যার আইডি নং ৬৪৬৪৯৬০৯৪৪। একজন মানুষ তিনটি তারিখে কিভাবে জন্মগ্রহ করেন এখন সকলের প্রশ্ন সেটাই। তার নাম,ঠিকানা ও বাবা মায়ের নাম একই রয়েছে ২য় ও ৩য় টিতে হোল্ডিং নাম্বার ৩১৮ রয়েছে প্রথম টিতে হোল্ডিং নম্বার দেয়া হয়নি।

এ ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভায় কর্মরত তাজুলের বেলায়। তিনি আইডি জালিয়াতি করে বানারীপাড়া পৌরসভায় নৈশপ্রহরী পদে চাকরি নিয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বানারীপাড়া পৌরসভা কর্তৃক পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয় ১১/০৬/২৩ নেয়া হয় ৩০/১০/২৩ এবং চাকরিতে যোগদান করে ২৬/১১/২৩ সালে।

মোঃ তাজুল ইসলাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণকাঠি জয়দেবপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আছমত আলী ব্যাপারির ছেলে। তিনি মূলত বানারীপাড়া পৌরসভার মেয়র এড: সুবাস চন্দ্র শীলের প্রাইভেট সিএনজি চালক ছিলেন। তাকে পৌর মেয়র কাছাকাছি রাখতে এমন সুক্ষ পরিকল্পনা করে পরীক্ষার নামে কারচুপির মাধ্যমে তাকে এ পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য এই সমস্ত নাটক করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারনা। এ নিয়োগে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পৌরসভা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে করা হয়েছে বিদায় সুবাস চন্দ্র শীলের আপন ভাতিজাকেও নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেখানেও জালিয়াতি করা হয়েছে কিনা ক্ষতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন সর্বসাধারণ।

এছাড়াও পাম চালক পদে শ্যামল নামের এক ব্যক্তির ও দুইটা এন আইডি কার্ড রয়েছে প্রথম এন আইডি কার্ডের প্রথমটা হল ২/০৫/৮৭ যার আইডি নং ১৯২০৫৭৫৪৪৪ দ্বিতীয় টা হল ২৯/১২/৯২ যার আইডি নং ১৯৮৭০৬১১০১০৭৮৫৩৬৪ তাকেও নিজের ইচ্ছেমত প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নিয়ে পৌরসভায় কাজ করার সুযোগ দেন মেয়র ও সচিব এমনটাই ধারনা করা হচ্ছে।

এ জালিয়াতি বিষয়ে জানতে তাজুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি বিদায় বক্তব্য নেয় সম্ভব হয়নি। বানারীপাড়া পৌরসভার সচিব সাহিন আক্তারের কাজে জানতে চাইলে তিনি কোন তথ্য দিতে চাননি।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র সুবাস চন্দ্র শীলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর