বগুড়া কারাগারের জেলার ফরিদুলকে স্ট্যান্ড রিলিজ

আপডেট: July 2, 2024 |

শাহজাহান আলী, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়া জেলা কারগারের কনডেম সেল থেকে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ৪ কয়েদি পালানোর ঘটনায় এবার জেলার ফরিদুল ইসলাম রুবেলকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে কারা অধিদপ্তর।

তাকে রাজশাহী ডিআইজি প্রিজন এর কার্যলয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

সোমবার (০১ জুলাই) রাত সোয়া ১১টার দিকে জেল সুপার, আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেল সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন,দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে জেলার ফরিদুল ইসলাম রুবেলকে স্ট্যান্ড রিলিজের নির্দেশ দিয়েছেন কারা অধিদপ্তর। তাকে রাজশাহী ডিআাইজি প্রিজন কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এর,আগে দায়িত্ব অবহেলার বিষয় উঠে আসায় বগুড়া কারাগারের ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামান, প্রধান কারারক্ষী আব্দুল মতিনসহ ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড় আরও তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়।

গত ২৬ জুন দিবাগত রাতে বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে,বিছানার চাদরকে রশি হিসাবে ব্যবহার করে পালায়ে যায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত চার আসামী।

তারা হলেন- কুড়িগ্রাম ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা এলাকার নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু(কয়েদি নম্বর-৯৯৮),
নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি এলাকার আমির হোসেন ( কয়েদি নম্বর-৫১০৫),
বগুড়ার কাহালু পৌরসভার মেয়র আব্দুল মান্নানের ছেলে মোঃ জাকারিয়া ( কয়েদি নম্বর-৩৬৮৫) এবং বগুড়ার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ফরিদ শেখ (কয়েদি নম্বর-৪২৫২)।

এই চারজন কয়েদি একই সেলে থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে মঙ্গলবার(২৫ জুন) রাতে তারা কনডেম সেলের ছাদ কেটে কাপড়ের রশি বানিয়ে ছাদ থেকে নেমে পালিয়ে যায়।

পরে বুধবার (২৬ জুন) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জেলখানার অদূরে একটি বাজার থেকে স্হানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

জেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে জানায় ৩ টা ৫৬ মিনিটে। এরপর পুলিশের সব ফাঁড়ি এবং টহল দলকে অ্যালাট করে দেওয়া হয়।

একপর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪টায় সদর ফাঁঢির সাব- ইন্সপেক্টরের নতৃত্বে পালাতক চার আসামীকে ধরে ডিবি কার্যলয়ে আনা হয়।

সেখানে কারা কতৃপক্ষ যেয়ে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেন।পরে মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে আবারও তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এই ঘটনার দিন সকালেই জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সদরের ডিআইজি প্রিজনসহ একাধিক কর্মকর্তারা ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেন।

এরপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসক। এর পাশাপাশি কারা কর্তৃপক্ষসহ মোট তিনটি তদন্ত কনিটি গঠন করা হয়।এসব কমিটি তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর