উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপের ভোট শেষ, চলছে গণনা

আপডেট: May 29, 2024 |
inbound2995217121109218201
print news

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে দেশের ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আগের দুই ধাপের ধারাবাহিকতায় এবারের ধাপেও ছিল ভোটারের খরা।

নির্বাচনী আমেজেও ছিল যথেষ্ট ঘাটতি। তবে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা বাদে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে ভোটগ্রহণ। এখন চলছে গণনা। সন্ধ্যা নাগাদ ফলাফল আসতে শুরু করবে।

বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই ধাপে ১০৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ২২টি উপজেলার ভোট স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। ফলে আজ ৮৭টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

তৃতীয় ধাপের এই নির্বাচনে প্রথম চার ঘণ্টায় ২০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

পরের চার ঘণ্টাসহ মোট কত শতাংশ ভোট পড়েছে সেই তথ্য এখনো জানা যায়নি।

ইসি সচিব বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে নেটওয়ার্ক জটিলতায় সকালে থেকে অ্যাপসে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ফলে সরেজমিন তথ্যের মাধ্যমে এই তথ্য জানা গেছে।

গত দুই পর্বে ভোটের দিন কেন্দ্রে উপস্থিতি তেমন চোখে না পড়লেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) দাবি করেছে, প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। আর দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি।

যদিও ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার পেছনে বিএনপিসহ বিরোধীদের ভোটে না আসা, ধান কাটার মৌসুমকে দায়ী করছে খোদ নির্বাচন কমিশন।

দুই দফায় ভোটার খরা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে আজ ৮৭ উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল। গত সোমবার দেশের বেশিরভাগ এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল।

এতে উপকূলীয় ১৯টি জেলা ছাড়াও দেশের বড় অংশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘূর্ণিঝড়ের রেশ প্রভাব ফেলে ভোটার উপস্থিতিতে।

এবারের উপজেলা নির্বাচনে শুরু থেকেই আমেজের ঘাটতি ছিল। প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি বিএনপিসহ কয়েকটি দল ভোট বর্জন করায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও সেভাবে হয়নি।

এজন্য প্রথম ধাপে মোট তিন পদে বিনা ভোটে ২৮ জন নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে ২২ জন এবং তৃতীয় ধাপে ১২ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।

তৃতীয় ধাপে ১০৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সোমবার ১৯টি এবং মঙ্গলবার ৩টি উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে কমিশন। ফলে বুধবার ৮৭টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্থগিত হওয়া উপজেলাগুলো হলো— বাগেরহাটের শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা; খুলনার কয়রা, ডুমুরিয়া ও পাইকগাছা; বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালী সদর, দুমকী ও মির্জাগঞ্জ; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার তজুমদ্দিন, লালমোহন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া, বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা এবং রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা, নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী; চাঁদপুর জেলার কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

এ ছাড়া খালিয়াজুরী উপজেলায় সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন ঘটা এবং কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ইভিএমের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এ ধাপে ১ হাজার ১৫২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৯৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৫৬ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর