‘নিজের বিমানেই যাব, মরলে মনে হবে দেশের মাটিতেই মরেছি’
নিজের বিমানেই যাব। মরলে মনে হবে, দেশের মাটিতেই মরেছি। কোনো কারণে বিমান না গেলে বা পাইলট পৌঁছাতে না পারলে চলে আসব। লক্ষ্যণীয় বিষয়, যখনই বিমানে উঠি, তখনই ঘটনা ঘটে বা নিউজ হয়। হয়তো পাসপোর্ট ভুলে যেতে পারে, ভুল হতে পারে। এখানে ইমিগ্রেশনে যারা ছিল, তাদের তো চেক করতে হবে।
রোববার (৯ জুন) বিকেল প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ক্যাপ্টেন তবে পাসপোর্ট না কাতার ইমিগ্রেশন পৌঁছানোর বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন শেখ হাসিনা।
জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ডে ১১ দিনের সফর শেষে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আরেকটি কথা বলব, ইমিগ্রেশন এখন পাওয়ারফুল। এখন তো সবাই ভিআইপি, ভিভিআইপি, আরও ভি লাগবে। কিন্তু কাউকে ছাড়া হবে না। প্রতিটি পাসপোর্ট সিল মারা আছে কিনা চেক করা হবে। ভিভিআইপি লাগেজও সবকিছু চেক করা হবে।
এটার কারণ আমার যেটা মনে হয়, আগে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা বিমানকে ইচ্ছেমত ব্যবহার করেছে। কিছুই তো ছিল না। জঘন্য অবস্থা ছিল। হোম মিনিস্টার নামই ছিল ক্যাসিনো বাবর। সেগুলো চলত। সেগুলো ভালোভাবে চেক করছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি, সবার পছন্দ হবে না জানি। খালি আমরা রিজার্ভ মারি, সেগুলো বন্ধের ব্যবস্থা নিচ্ছি। সিকিউরিটির ওপর ব্রিটিশরা বাগড়া দিলো, একবার অস্ট্রেলিয়া দিলো। এখন সিকিউরিটি লেভেল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের আঁতে ঘা বা ইন্টারেস্ট কমে যাচ্ছে।এখন এত চমৎকারভাবে চলছে, প্রবাসীরা নিজেদের দেশের ক্যারিয়ারে চলার জন্য পাগল। টিকিট নিয়ে ঝামেলা ছিল। সিট ছিল না। এখন আর এসব নিয়ে সমস্যা নেই। যারা এগুলো করত, তাদের কম পড়ছে। তাই যখনই যেতে চাই, তখনই সমস্যা হয়। আমাকে বলে, এটা হবে তো ওটা হবে। নিজের বিমানেই যাব। মরলে মনে হবে, দেশের মাটিতেই মরেছি।
কোনো কারণে বিমান না গেলে বা পাইলট পৌঁছাতে না পারলে চলে আসব। এভাবে যে ঘটনাগুলো, আপনাদেরও দেখা উচিত কেন ঘটে।
গত বুধবার (৫ জুন) রাতে কাতারের রাজধানী দোহাতে দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজ নিয়ে কাতার যান তিনি। কিন্তু পাইলট ভুল করে পাসপোর্ট সঙ্গে না নেওয়ায় সেখানেই বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে আটকা পড়েন তিনি।