জবাই করে হত্যা, সহোদরের ফাঁসি

আপডেট: April 15, 2019 |
print news

রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় কিশোর আহমেদ আলীকে (১৫) জবাই করে হত্যার অভিযোগে আপন দুই ভাইকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে রেখে দণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় অপর তিনজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রবিউল আলম মামলায় রায় ঘোষণা করেন। আদালতে আসামিদের হাজিরা নিশ্চিত হওয়ার পর রায় পড়ে শোনানো হয়।

আদেশের পর অভিযুক্ত করে দণ্ডিত সহোদর ফাঁসির আসামি শাহাদাত হোসেন বাবু (৪২) ও সাজ্জা হোসেন পিপলু (৩৪) -কে মৃত্যু পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হাইকোর্টের অনুমোদনসাপেক্ষে যত দ্রুত সম্ভব মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে।

এদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয় চার্জশিটভুক্ত আসামি গুলজার হোসেন, বাদল হোসেন ও রমিজ উদ্দিনকে। আর কোন মামলা না থাকলে তাদের দ্রুত মুক্তি দিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০১৩ সালের ২ অক্টোবর মামলায় অভিযোগ গঠনের পর আসামিদের বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে  দুই আসামি সায়েদ আলী ও মিলন মিয়া মারা গেলে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এর আগের বছর ১৭ এপ্রিল পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক সাদিক মজিবুর রহমান সাতজনকে আসামি করে চার্জশিট দেন।

বিবরণে প্রকাশ, ২০১১ সালের ১১ মে রাতে রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন পূর্ব গোড়ান এলাকার এক চায়ের দোকানের পিছনে আহমেদ আলীকে জবাই করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের মা নারগিস আক্তার বাদি হয়ে মামলা করেন। অভিযোগ করেন, নারগিস আসামিদের বাসার ভাড়াটিয়া। আসামিরা আগে থেকেই পরিবারসহ বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে চাইছিল ও হত্যার চেষ্টা করছিল।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর