পারিবারিক পিকনিকের নামে ইয়াবা পাচারে আটক ৬
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কঠোর অবস্থানে মাদকপাচারে নতুন পথ বেছে নিয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা। শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামে একটি বাস থেকে আড়াই লাখ পিস ইয়াবাসহ ৬ জনকে আটক করা হয়।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর র্যাব জানায়, পারিবারিক পিকনিকের আড়ালে কক্সবাজার থেকে ইয়াবা পাচার করা হচ্ছিলো যশোরে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতেই এ অভিনব পথ বেছে নেয়া হয়েছে।
র্যাব জানায়, মাদক পাচার হচ্ছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শাহ আমানত সেতুতে চেকপোস্ট বসানো হয়। সন্দেহ হওয়ায় পিকনিকের বাসটিকে থামার নির্দেশ দেয়া হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে একটি বাক্স থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। আটক করা হয় বাসচালকসহ ছয় জনকে।
র্যাব-৭ উপ-অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়েত জামিল ফাহিম বলেন, আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে পিকনিকের উদ্দেশে বেরিয়ে তারা বাকি সদস্যদের সেন্ট মার্টিনে পাঠিয়ে দিয়ে ইয়াবাসহ ছয় জন টেকনাফের দিকে রওনা হয়। ছয়জনের মধ্যে চারজন আত্মীয় এবং ইয়াবা ব্যবসার অংশীদার।
মূলত মিয়ানমার থেকে অবৈধ পথে আসা মাদক পাচার রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থান নিলেও বন্ধ হচ্ছে না পাচার। নতুন নতুন পাচারে পথ বের করে নিচ্ছে পাচারকারীরা। এবার তাদের অবলম্বন হলো পিকনিকের গাড়ির ছদ্মবেশ।
র্যাব জানায়, পাচারের উদ্দেশে এই পারিবারিক পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল। পরিবারের একটি অংশকে সেন্ট মার্টিন বেড়াতে পাঠিয়ে বাকিরা গাড়ির ভেতর বিশেষ কৌশলে ইয়াবা লোড করে নেয়।
র্যাব-৭ এর কোম্পানি কমান্ডার মাশরেকুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর্যুপরি অভিযানে মাদক ব্যবসায়ীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। এ জন্য তারা নতুন নতুন উপায়ে মাদক পাচারের চেষ্টা করছে।
অভিনব পন্থায় ইয়াবা পাচারের এ ঘটনায় আটককৃত ৬ জনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করেছে র্যাব।