দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পুঁজিবাজারের অবদান আগামীতে আরো বৃদ্ধি পাবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: July 26, 2023 |

দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পুঁজিবাজারের অবদান আগামীতে আরো বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের উদ্যোগে স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান এবং বিএসইসি’র কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার, ২০২২-২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য এবং গৌরবোজ্জ্বল অর্জনগুলো তুলে ধরেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ত্যাগ ও অবদানের কথা স্মরণ করেন।

এ ছাড়াও তিনি অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এর যোগ্য নেতৃত্বে বিএসইসি’র দীর্ঘমেয়াদী ও কার্যকর উদ্যোগসমূহের প্রশংসা করেন। সরকার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন বলেই বাংলাদেশে অর্থনৈতিক বিপ্লব সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে এবং দেশের সর্বস্তর থেকে দারিদ্র্য দূর হয়েছে।

স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব জনাব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

এ সময় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের জন্য দেশের স্থিতিশীলতা থাকা আবশ্যক বলে মন্তব্য করেন তিনি। দেশের আইন-শৃঙ্খলার স্থিতিশীলতা বজায় রাখার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য সরকার ও মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়কে ধন্যবাদ দেন তিনি। শুদ্ধাচার পুরস্কারের মাধ্যমে কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আরো উৎসাহিত হবেন এবং এর মাধ্যমে সেবার মান বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মাঝে অধিকতর ভালো সেবাপ্রদানের ও প্রতিযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি হবে এবং ভবিষ্যতেও স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব জনাব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ পুরস্কার বিজয়ীদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। তিনি ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার লক্ষ্যসমূহ অর্জন এবং ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্মার্ট পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে পুঁজিবাজারের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে উদ্যোগী হতে বলেন।

পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে পুরস্কৃত করার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে সুদৃঢ় করতে পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে দায়িত্বের সাথে কাজ করতে বলেন। সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ দেশের পুঁজিবাজারকে স্মার্ট পুঁজিবাজারে রুপান্তরিত করার কর্মযজ্ঞে সদাসর্বদা সবধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

পুঁজিবাজারে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২২ সালের জন্য মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে ‘স্টক ব্রোকার ও ডিলার’, ‘মার্চেন্ট ব্যাংকার’ এবং ‘অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি’-এই তিনটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়। ‘স্টক ব্রোকার/ডিলার’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন– ১ম পুরস্কার: ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ২য় পুরস্কার: শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং ৩য় পুরস্কার: শেলটেক ব্রোকারেজ লিমিটেড ও ইমিনেন্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেড। মার্চেন্ট ব্যাংকার ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন – ১ম পুরস্কার: গ্রীন ডেল্টা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ও ২য় পুরস্কার: এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।‘অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন – ১ম পুরস্কার: ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ও ২য় পুরস্কার: লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড।

বিএসইসি’র কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার, ২০২২-২৩ বিজয়ীরা হলেন: বিএসইসি‘র নির্বাহী পরিচালক ড. এ. টি. এম. তারিকুজ্জামান, বিএসইসি‘র ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জনাব বিপ্লব কুমার এবং বিএসইসি‘র অফিস সহায়ক জনাব সবুজ মিয়া।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর