শেখ জামাল হত্যার ‘মাস্টারমাইন্ড’ জিয়াউর রহমান : তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মেধাবী তরুণ শেখ জামালের হত্যাকারীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি এবং দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন এই হত্যাকান্ডের অন্যতম ‘মাস্টারমাইন্ড’। দুঃখজনক হলেও সত্য আজও তারা আস্ফালন করে।
আজ শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন।
শেখ জামাল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ঘাতকদের হাতে নিহত হন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে শহীদ শেখ জামালের শুভ জন্মদিন। জন্মদিনে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। শহীদ শেখ জামাল ১৯৭১ সালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেলের সাথে পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি ছিলেন। সেই বন্দিদশা থেকে তিনি পালিয়ে গিয়ে পায়ে হেঁটে নানাভাবে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে আগরতলা গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ জামাল পুরো ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। সম্মুখ সমরে থেকে যুদ্ধে অংশ নেন। পরবর্তীতে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হয়েছিলেন। বিশ্ব বিখ্যাত সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ব্রিটেনের ‘স্যান্ডহার্স্ট’ থেকে তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি একজন মেধাবী তরুণ ছিলেন। একইসঙ্গে সংস্কৃতিমনা মানুষ ছিলেন, সংস্কৃতি চর্চা করতেন। খেলাধুলার প্রতি ছিল তার গভীর অনুরাগ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ জামালের হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একজন মেধাবী তরুণকে হারিয়েছিল। একজন সম্ভাবনাময় তরুণ যিনি দেশকে অনেক কিছু দিতে পারতেন, দেশ গঠনে অবদান রাখতে পারতেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আওলাদ হোসেন শামিম, দলের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।