সিংগাইরে ফসলি জমির মাটি কেটে পুকুর, ড্রেজার দিয়ে চলছে বালু উত্তোলন

আপডেট: April 10, 2023 |

সোহরাব হোসেন,সিংগাইর প্রতিনিধি : কয়েক বছর আগেও যে জমিতে ফলতো ফসল, ইটভাটার কড়াল গ্রাসে ওই জমি এখন পরিনত হয়েছে পুকুর ও জলাশয়ে। তারপরও থেমে নেই মাটিখেঁকুদের দৌরাত্ম। ওইসব জলাশয়ে এখন চলছে ডেজার বসিয়ে গভীর থেকে বালু উত্তোলন। ফলে, ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে আশপাশের জমির মালিকেরা।

সরেজমিন সোমবার(১০ এপ্রিল) মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের খোলাপাড়া চকে সুরুজ কোম্পানী, ভদ্যরের চকে রফিকুল ইসলাম ও কাইতার টেকে লিটন দেশীয় ড্রেজার বসিয়ে পুকুর-জলাশয় থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করে স্টক ও বিক্রি করছেন।

স্থানীয় কৃষকেরা জানিয়েছেন, ভাটায় ইট তৈরির কাঁচামালের যোগান দিতে ফসলি জমি থেকে অবাধে কাটা হচ্ছে মাটি। এতে ওই চকের জমিগুলো পুকুর ও জলাশয়ে পরিনত হচ্ছে।

গত ১১ দিন ধরে স্থানীয় আলী আকবর কোম্পানীর ছেলে প্রভাবশালী সুরুজ কোম্পানী এবার জলাশয়ে ড্রেজার বসিয়ে গভীর থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছেন।

আর সেই বালু স্টক করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে। ড্রেজার মালিক সুরুজ কোম্পানীর দাবী এর সাথে আমি জড়িত না। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল মাজেদ খানের ছোট ভাই আরিফুর রহমান জিন্নাহ ও তার ভাতিজা জিয়া খানকে একটি প্রাইমারী স্কুলে মাটি সরবরাহের জন্য দুই টাকা ফুট দরে কাটতে দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এখান থেকে উত্তোলিত প্রতিফুট বালু আমি ৪ টাকা দরে অন্যত্র বিক্রি করতে পারি। তারা ৭ দিন কাটার কথা থাকলেও ১১ দিন যাবত বালু উত্তোলন করছে। এদিকে, আরিফুর রহমান জিন্নাহ এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সুরুজ নিজেই তার পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করে স্টক ও বিক্রি করছেন।

কাইতার টেকে বালু উত্তোলনকারী লিটন বলেন, নিজেদের ৩৩ শতাংশ জায়গায় বাড়ি করার কিছু বালু ফেলছি।

আশপাশের জমির মালিকেরা জানান, ভাটা কোম্পানীগুলো প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করা যায় না। কেউ জমি বা মাটি বিক্রি করতে না চাইলেও তারা অনেক সময় জোর করেই মাটি কাটতে থাকে।

অবশেষে ওই জমির মালিকেরা কম মুল্যে তাদের কাছে জমি বা মাটি বিক্রি করতে বাধ্য হন। প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জালাল উদ্দিন বলেন, আমি বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর