আমাদের ভাবতে হবে নিজেদের নিয়ে : তামিম ইকবাল
পারব না’- এই শব্দটা তামিম ইকবালের অভিধানেই নেই হয়তো। এই জন্যই বোধহয় আফগানিস্তানের স্পিনত্রয়ীর বিপক্ষে ভালো খেলার সামর্থ্য আছে কি না প্রশ্নে পাল্টা প্রশ্নই ছুড়ে দিলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট কোনো বোলারকে নিয়ে বেশি কথাবার্তা বলতে চাই না। যেটা বললাম- তাদের বোলিং অনেক ভালো, সম্ভবত সেরা স্পিন অ্যাটাক তাদেরই। কিন্তু এদের বিপক্ষেই আমরা অতীতে অনেক ভালো করেছি, বিশেষ করে ওয়ানডে ফরম্যাটে। আবার কেন করতে পারব না?’
রশিদের লেগস্পিনের সঙ্গে মোহাম্মদ নবী ও মুজিব উর রহমানের অফস্পিনও বেশ ভোগাতে পারে তামিম-সাকিবদের। বিষয়টি যে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের মাথায় আছে তা বেশ ভালোমতোই টের পাওয়া গেছে। নেটে ব্যাটসম্যানদের বেশিরভাগ সময়ই স্পিনের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে দেখা গেল। মিরাজ, নাসুম, রিয়াদ, আফিফরা তো স্পিন করেছেনই। তাদের সঙ্গে ছিলেন লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও রিশাদ হোসেন। স্কোয়াডে না থাকলেও তাদের আলাদা করে চট্টগ্রামে উড়িয়ে এনেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
বাংলাদেশের জন্য আশার দিক, টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডেতে রশিদ ততটা কার্যকরী নন। ৫৬ টি-টোয়েন্টিতে ১২.৭৩ গড়ে ও ৬.২০ ইকোনমিতে তার উইকেট ১০৩টি। ওয়ানডেতে ১৮.৪৯ গড় ও ৪.১৬ ইকোনমিতে ৭৭ ম্যাচে পেয়েছেন ১৪৬ উইকেট। বাংলাদেশের বিপক্ষেও ওয়ানডেতে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। ৬ ম্যাচে মাত্র ১০ উইকেট পেয়েছেন। ২০১৯ সালে সবশেষ মুখোমুখিতে ছিলেন উইকেটশূন্য। এছাড়া ২০১৬ সালে তিন ওয়ানডের সিরিজে ৭ উইকেট পেয়েছিলেন। ২০১৮ সালে এশিয়া কাপে দুই ম্যাচে এই লেগস্পিনারের প্রাপ্তি ৩ উইকেট। রশিদের সঙ্গে ভয় ধরানোর জন্য আছেন মুজিব। তবে ডানহাতি স্পিনারও ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সফল নন। ৪৬ ওয়ানডেতে ৭৭ উইকেট পাওয়া মুজিব বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ ম্যাচে ৬ উইকেট পেয়েছেন।
প্রতিপক্ষ নিয়ে না ভেবে নিজেদের নিয়ে চিন্তায় মগ্ন থাকতে চান তামিম, ‘আমাদের ভাবতে হবে নিজেদের নিয়ে। আপনারা তিনজনের নাম বলেছেন, কিন্তু তারা বল করবে ৩০ ওভার। বাকি যে দুইজন বল করবে তারাও ভালো। শুধু তিনজনকে নিয়ে চিন্তা করলেই হবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সহজ বোলার আপনি খুব কমই পাবেন। ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ সবসময়ই থাকে। এক দল হয়তো স্পিনে ভালো, আরেক দল হয়তো পেসে। আমাদের মানিয়ে নিয়ে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে হবে। ’
‘আমাদের ওদের ১১ উইকেট তুলতে হবে, তাই ওদের ব্যাটসম্যান নিয়েও আমাদের ভাবতে হয়। ৫০ ওভারে ওদের ৫-৬ বোলার বল করবে। সবকিছু নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা জানি আমাদের ডেঞ্জার জোন কী কী হতে পারে, কোন কোন জায়গায় কীভাবে পরিকল্পনা করব। এটা নিয়ে গত ১-২ দিন ধরেই কথা বলছি। এখানে বসে আমি যত কিছুই বলে দেই না কেন, মাঠে এটা করতে না পারলে কোনো লাভ হবে না।’– যোগ করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।