শেরপুরে কমছে নদ-নদীর পানি, বন্যায় মৃত বেড়ে ৮

আপডেট: October 7, 2024 |
inbound3798021628658248055
print news

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে সৃষ্ট বন্যায় পাহাড়ি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও পানিবন্দি হাজারও পরিবার। দুর্ভোগে রয়েছেন পানিবন্দি এলাকার মানুষজন। এখনও অনেক জায়গাতেই পৌঁছায়নি ত্রাণ সহায়তা।

তবে জেলা প্রশাসন বলছে, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে সহায়তা পৌঁছানো হয়েছে। এদিকে গত চারদিনে বন্যার পানিতে নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলায় মোট ৮ জন মারা গেছেন।

 

এর আগে ৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন।

তিনি জানান, ভারী বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ীর খলিশাকুড়ির খলিলুর রহমান (৬৫), আন্ধারুপাড়ার ইদ্রিস আলী (৬৬), নিশ্চিন্তপুর কুতুবাকুড়া গ্রামের দুই ভাই আলম (১৭) ও হাতেম (৩০), বাঘবেড় বালুরচরের ওমেজা বেওয়া পানিতে ডুবে মারা গেছেন।

এছাড়া ঝিনাইগাতীর সন্ধাকুড়া থেকে একজন উদ্ধার হয়েছে। তবে তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এছাড়া নকলা উপজেলায় দুইজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলার উরফা ইউনিয়নের কুড়েরকান্দায় বন্যার পানিতে থাকা বিদ্যুতের তারে বিদ্যুতায়িত মোক্তার আলী (৫০) নামের একজন মারা গেছেন।

অন্যদিকে একই উপজেলার গনপদ্দির গজারিয়া বন্যার পানিতে ডুবে আ. রাজ্জাক নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।

কৃষি বিভাগ ও মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় ৪৭ হাজার হেক্টর আবাদি জমির আমন ধান ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার হেক্টর জমির সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর মাছের ঘের তলিয়ে গেছে ৬ হাজারেরও বেশি। এতে মাথায় হাত পড়েছে আমন ও মৎস্যচাষীদের।

সব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলার অন্তত পৌনে দুই লাখ কৃষক। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা ও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, জেলার প্রায় সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে। পানি কমতে শুরু করেছে এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাকিবুজ্জামান খান বলেন, আজ সোমবারের মধ্যে সব নদীর পানি কমবে, উন্নতি হবে বন্যা পরিস্থিতির।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর