সন্তান নেই, তবুও মাতৃত্বকালীন ভাতা নেন ইউপি সদস্য লাকি

আপডেট: September 28, 2024 |

গর্ভবতী ও সন্তান নেই তবুও মাতৃত্বকালীন ভাতা নেন ইউপি সংরক্ষিত নারী সদস্য। ভাতা নেয়ার বিষয়টিও স্বীকার করেন তিনি।

 

অভিযুক্ত নারী সদস্যের নাম লাকি আক্তার। তিনি নেত্রকোণার মদন উপজেলার নায়কপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য।

সম্প্রতি ওই এলাকার সারওয়ার নামে একজন জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ নিয়ে এলাকার জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অধীনে মা ও শিশু সহায়তা ভাতার জন্য তালিকা চাওয়া হয়। প্রণয়নকৃত তালিকা অনুযায়ী মা ও শিশু সহায়তা ভাতার প্রথম অবস্থায় সাড়ে ৯ হাজার করে টাকা পাবেন প্রসূতিরা। এর মধ্যে তাদের মোবাইলে সে টাকা জমা হয়েছে।

নায়েকপুর ইউনিয়নে ১২৮ জন প্রসূতি মা ও শিশু সহায়তা ভাতার জন্য মনোনীত হন। এগুলোর মধ্যে প্রায় অর্ধেক কার্ডে অনিয়ম হয়েছে। উপকারভোগীদের অনেকের সন্তান না থাকলেও পেয়েছেন ভাতার কার্ড।

জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্যা লাকি আক্তার নিজ নামে মা ও শিশু সহায়তা ভাতার কার্ড করেছেন। অথচ লাকি আক্তার গর্ভবতীও নন, নেই কোনো শিশু সন্তান। সবচেয়ে যে ছোট সন্তানটি রয়েছে তার বয়সও ৯ বছর।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য লাকি আক্তার বলেন, আমার নামে মা ও শিশু সহায়তা ভাতার কার্ড হয়েছে। আমার ৮-৯ বছরের একটি সন্তান আছে। তবুও ভাতার কার্ড পেয়েছি। জানি এটা ঠিক না। অনেকে এভাবে নিয়ে আসছেন। আমিও সে সুযোগ নিয়েছি।

ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাদিস মিয়া বলেন, আমি ইউপি সদস্যদের নিয়ে এটি তৈরি করি। তবে তাদের ভাগে পাওয়া তালিকায় মহিলা মেম্বার লাকি আক্তারের যে নাম আছে বিষয়টা জানতাম না।

মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর