নাস্তিকদের শিক্ষা ব্যবস্হা চাই না: অধ্যাপক এ বি এম ফজলুল করিম

আপডেট: September 28, 2024 |

রাকিবুল হাসান রাকিব, জয়পুরহাট প্রতিনিধি: বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন একটি সার্বজনীন প্রতিষ্ঠান।

এখানে সব ধর্মের শিক্ষকরা সমান মর্যাদা পায়। আমরা এমন শিক্ষা ব্যবস্হা চাই যেখানে সন্তান তার বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবে না। দূর্ণীতি করবে না।

নারীদের শ্লীলতাহানি ঘটাবে না। যে শিক্ষা ব্যবস্হা কায়েম করেছিলেন হযরত মুহাম্মদ (স.)। সাহাবীরা ছিলেন তাঁর সরাসরি ছাত্র।

এই ছাত্ররা একটি সুন্দর পৃথিবী গঠন করেছিলেন বলেছেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক এ বি এম ফজলুল করিম।

শনিবার আব্বাস আলী খান মিলনায়তনে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন জয়পুরহাট শাখা আয়োজিত জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাহমুদুল হাসান এর সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা কার্যক্রমের সকল স্তর থেকে ফ্যাসিবাদ সরকারের সহযোগী ও নাস্তিকদের নির্বাহী আদেশে অপসারন করতে হবে।

যারা রোষানলের স্বীকার হয়ে চাকরিচ্যুত হয়েছেন তাদের স্বপদে বহাল করতে হবে। এরই মধ্যে আমরা ৪৭ জনের তালিকা সরকারকে প্রদান করেছি।

শিক্ষকরা জাতির বিবেক। তাদের অভূক্ত রাখবেন? তাদের বেতন বাড়িয়ে দিন।বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনকে কোন দাবী নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য করবেন না। যদি মাঠে নামি তাহলে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সহকারী জেনারেল সেক্রেটারী রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা একটি সুন্দর রাষ্ট্র গড়তে চাই।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্হা দিয়ে আবু বকর, ওমর গড়ে তুলতে পারছি না। যারা এই রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখবে। আমরা শিক্ষক হিসেবে ব্যর্থ।

আমাদের শিক্ষক সমাজ নানান অপকর্মের সাথে জড়িত। যা গোটা জাতিকে অপমানিত করে। আদর্শ শিক্ষক হতে হলে সবাইকে ধর্মীয় নীতি অনুসরণ করতে হবে।

আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন জয়পুরহাট জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা ডা. ফজলুর রহমান সাঈদ বলেন, শিক্ষকরা সমাজ গড়ার কারিগর।

কিন্তু বর্তমানে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্হা ধ্বংসের শেষ প্রান্তে। আওয়ামী সরকার পরীক্ষার হলগুলোতে যেভাবে নকল করার অবাধ সুযোগ দিয়েছে তাতে শিক্ষার্থীদের জীবনে ভাটা পড়েছে।

এটা না করলে ছেলেমেয়েরা পড়ালেখায় মনযোগী হতো। এই অপকর্মের সাথে কিছু সুবিধাবাদী শিক্ষকও জড়িত ছিলো। আমাদের উচিত এমন অন্যায় না করা। আমাদের শিক্ষক সমাজকে নৈতিকতার ক্ষেত্রে আপোষহীন হতে হবে।

এছারাও বক্তব্য রাখেন জেলার সহকারী উপদেষ্টা মাওলানা গোলাম কিবরিয়া মন্ডল, বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের জেলা সভাপতি হাসিবুল আলম লিটন, বাংলাদেশ কারিগরী কলেজ শিক্ষক পরিষদের জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ তাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক পরিষদের জেলা সভাপতি আব্দুল আলিম, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের জেলা সভাপতি মাওলানা সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ এবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের জেলা সভাপতি মাওলানা সাইদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক পরিষদের জেলা সভাপতি আবু সুফিয়ান প্রমুখ।

 

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর