রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমবে: এডিবির পূর্বাভাস

আপডেট: September 25, 2024 |

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমালো এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি। চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধি পাঁচ দশমিক এক শতাংশ হবে বলছে সংস্থাটি।

দেশে টানা কয়েক মাস ধরে চলেছে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা। পতন ঘটেছে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের।

এর মধ্যেই ফেনী-নোয়াখালীসহ দেশের একটি বড় অংশ মুখোমুখি হয় ভয়াবহ বন্যার। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য বিঘ্নিত হওয়ায় চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে পাঁচ দশমিক এক শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে, যা সংস্থাটির আগের পূর্বাভাসের চেয়ে কম।

এর আগে গত এপ্রিলের পূর্বাভাসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছয় দশমিক ছয় শতাংশ হবে বলে জানিয়েছিল ম্যানিলাভিত্তিক বহুপাক্ষিক ঋণদাতা সংস্থাটি।

এডিবি বলছে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বন্যা বিবেচনায় নিয়ে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানো হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছিলো ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। তবে, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি বলছে, অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ১ শতাংশ।

এর আগে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। এডিবির এ পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের দেয়া গত জুনের পূর্বাভাসের তুলনায় কম। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছিল বিশ্বব্যাংক।

এডিবির প্রতিবেদন বলছে, জুলাই এবং আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং বৈশ্বিক আর্থিক অস্থিতিশীলতার কারণে সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এসব কারণেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানো হয়েছে।

পণ্য ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং টাকার মান কমে যাওয়ায় খাদ্যপণ্যের দাম আরো বাড়বে বলছে এডিবি। এর ফলে মূল্যস্ফীতিও দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

এডিবির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, দেশের অর্থনীতিতে দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। রাজস্ব ও আর্থিক নীতি কঠোর করার পাশাপাশি, সুদ ও বিনিময় হার স্থিতিশীল করাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সংস্থাটি। এছাড়া অর্থনীতির বৈচিত্র্যকরণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়াও জরুরি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর