কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের উদ্যোগে বন্যার্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান

আপডেট: September 14, 2024 |

কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ (এমসিজে) এবং ‘চিরন্তন’ সমাজ কল্যাণ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে কুমিল্লায় বন্যার্তদের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কুমিল্লার বুড়িচংয়ের জরইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমটি চলেছে।

বন্যার্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ক্যাম্পেইনে সহযোগী হিসেবে আরও ছিলো জে. কো. ব্যাটারি, বন্ধন সমাজ কল্যাণ সংস্থা, এস এম এন্টারপ্রাইজ, এবিসি  ইংলিশ স্কুল এবং জরইন স্টুডেন্ট ফোরাম (জেএসএফ)।

চিকিৎসা সেবা নিতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা আয়েশা আক্তার বলেন, ’এটা একটা ভালো আয়োজন। ডাক্তাররা সময় নিয়ে রোগী দেখছে, প্রয়োজনীয় ঔষধ দিচ্ছে। আমি বাবা, মা এবং আমার সন্তানকেও ডাক্তার দেখিয়েছি। এরকম আয়োজন আরও হলে বন্যার্তদের জন্য অনেক উপকার হবে।’

এই বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ও চিরন্তন সমাজ কল্যাণ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের মাঝে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য ক্যাম্পটি করেছি।

বন্যার কারণে অনেকেই নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে।

এই চিন্তা থেকেই আমরা এই বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেই। এখানে ছয়জন ডাক্তার চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে এবং সাথে সাথে ওষুধও সরবরাহ করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে বিভাগটির প্রধান সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিভাগ থেকে প্রথমে বন্যার্তদের ত্রাণ-উপহার সামগ্রী প্রদানের মাধ্যমে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।

এখন বন্যা পরবর্তী সময়ে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছি। এর অংশ হিসেবে ‘চিরন্তন’ নামের একটি সংগঠনের সাথে যৌথভাবে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার উদ্যোগটি নিয়েছি।

এখানে আমরা শুধু চিকিৎসা করে প্রেসক্রাইব করে রেখে দিচ্ছি না সাথে সাথে ওষুধও সরবরাহ করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের পর পুণর্বাসন প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা করেছি। যেমন অনেকেই তাদের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়েছে, অনেকেই আছে যাদের বাসা বাড়িটাও নাই।

আমরা হয়তো সবাইকে সাহায্য করতে পারব না, কিন্তু চেষ্টা করব যতটুকু পারি এসব গৃহহীনদের ঘরটা অন্তত বানিয়ে দেওয়ার। বন্যার্তদের মৌলিক চাহিদাটা যেন পূরণ হয় সবার সাহায্যের মাধ্যমে।

আমি আমার বিভাগের শিক্ষার্থী উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান স্যারসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এইভাবেই যেন আমরা একাডেমি কার্যক্রমের পাশাপাশি মানবসেবা করতে পারি।’

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর