আজ কিংবদন্তি অভিনেতা আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী

আপডেট: September 13, 2024 |

‘বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার মহান অধিপতি, তোমার শেষ উপদেশ আমি ভুলিনি জনাব। তুমি বলেছিলে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারীদের প্রশ্রয় দিও না, তুমি বলেছিলে সুযোগ পেলেই তারা এ দেশ কেড়ে নেবে, আমি তাদের প্রশ্রয় দেব না’— গলা কাঁপিয়ে বলিষ্ঠ এই উচ্চারণ শুনলেই মানসপটে ভেসে ওঠে আনোয়ার হোসেনের মুখচ্ছবি। নবাবের সেই সংলাপ ভুলে না-গেলেও ক’জন মনে রেখেছে বাংলা সিনেমার দিকপাল এই অভিনেতাকে।শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলার মুকুটহীন নবাব আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাকে রাজধানীর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।১৯৩১ সালের ৬ নভেম্বর জামালপুর জেলার সরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আনোয়ার হোসেন। ১৯৫৮ সালে ‘তোমার আমার’ সিনেমার মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ৫২ বছরের অভিনয় জীবনে পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন কিংবদন্তি এই অভিনেতা। নায়ক হিসেবে আনোয়ার হোসেনের শেষ সিনেমা ‘সূর্য সংগ্রাম’। ১৯৭৯ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি। ২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পান তিনি।
আনোয়ার হোসেন অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো— ‘কাঁচের দেয়াল’, ‘বন্ধন’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘রংবাজ’, ‘ধীরে বহে মেঘনা’, ‘রুপালী সৈকতে’, ‘নয়নমণি’, ‘নাগর দোলা’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সূর্য সংগ্রাম’, ‘সূর্যস্নান’, ‘লাঠিয়াল’, ‘জোয়ার এলো’, ‘নাচঘর’, ‘দুই দিগন্ত’, ‘পালঙ্ক’, ‘অপরাজেয়’, ‘পরশমণি’, ‘শহীদ তিতুমীর’, ‘ঈশা খাঁ’, ‘অরুণ বরুণ কিরণমালা’ প্রভৃতি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর