বন্যা কবলিত শিক্ষার্থীদের পাশে কুবি’র লিও ক্লাব
কুবি প্রতিনিধি: সম্প্রতি বন্যায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের জন্য অর্থ উপহারের ব্যবস্থা করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুব সেবা সংগঠন লিও ক্লাব অব কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি।
বৃহস্পতিবার (৫ই সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ টি বিভাগে মোট ১৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য পাঠানো হয় এই অর্থ উপহার।
জানা যায়, গত ২৭শে আগস্ট বন্যা কবলিত এলাকার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার উদ্দেশ্যে তহবিল গঠন করে লিও ক্লাব অব কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি থেকে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য আহ্বান করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা, ইংরেজি, লোকপ্রশাসন, গণিত, পরিসংখ্যান, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা এবং ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং সহ মোট ৮ বিভাগের ১৯ জন শিক্ষার্থী নিজ নিজ তথ্য সরবরাহ করেন।
এরই প্রেক্ষিতে গঠিত তহবিলের অর্থ বৃহস্পতিবার বিভাগ গুলোতে পৌঁছে দেন ক্লাবটির প্রতিনিধিরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হাসিন মাহতাব মাহিন বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের মূল উদ্দেশ্যই হলো সংকটময় মুহূর্তে কমিউনিটির সেবা করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে এখানকার স্টেকহোল্ডারদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছি আমরা।
সাম্প্রতিক সময়ে যে রাজনৈতিক বন্যা হয়েছে এতে দেশের বিভিন্ন জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সেসব ক্ষতিগ্রস্ত জেলার অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা সংকোচের কারণে হয়তো নিজেদের সহযোগিতা প্রয়োজন হওয়া সত্বেও বলতে পারছে না।
তাই তাদের পাশে দাড়ানোর জন্য আমরা আমাদের সংগঠন থেকে এই অর্থ উপহারের উদ্যোগ নিই। সামনে যখনই সংকটময় মুহূর্ত আসবে লিও ক্লাব বরাবরের মতো ঢাল হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবে।’
এ বিষয়ে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের হেড অব দ্যা ডিপার্টমেন্ট সহযোগী অধ্যাপক এমদাদুল হক বলেন, ‘লিও ক্লাব অব কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর যে প্রয়াস চালিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয় ও মহতি উদ্যোগ।
বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে এ ধরনের দুর্যোগকালীন সময়ে সরকারের পাশাপাশি সংগঠনিক পর্যায়ে লিও ক্লাবের মতো সব সামাজিক সংগঠন যদি এগিয়ে আসে, তাহলে ভবিষ্যত বাংলাদেশে যেকোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।’
সংগঠনটির এরূপ উদ্যোগ নিয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের হেড অব দ্যা ডিপার্টমেন্ট কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, ‘একটি সংগঠনের দর্শন কী হওয়া উচিত, এমন একটি উদ্যোগ নিয়ে লিও ক্লাব অব কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি তারই যথার্থতা প্রমাণ করেছে।
লিও ক্লাবের এই কার্যক্রম এবং উদ্যোগের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে তাদের ভিত্তি মজবুত। আমি এ সংগঠনের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
আশা রাখি, সংগঠনটি যেন সামনের দিনগুলোতে আরও বড় পরিসরে মানুষের পাশে থাকে।’