আ.লীগের ৫ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

আপডেট: August 20, 2024 |

সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও শ্রমিক নেতা শাহজাহান খান ও সাবেক গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ ৫ নেতার নামে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুদকের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

শাহজাহান খান, ফিজার ছাড়াও অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, সাবেক সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল এবং তার সহধর্মিনী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল।

২০১৪ সালে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানেকে তাকে তলব করে দুদক। ২০০৮ সালে শাজাহান খানের অস্থাবর সম্পদ ছিল প্রায় ৫৭ লাখ টাকার। এখন তা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকায়। এছাড়া সাবেক এই মন্ত্রী দানসূত্রে ফ্ল্যাট ও বিপুল পরিমাণ জমির মালিক হওয়ার বিষয়টি সামনে আসে।

এছাড়া সম্পদের অর্জনের মধ্যে রয়েছে -শাজাহান খানের দুটি গাড়ি রয়েছে, স্ত্রীর নামে ৯৬ ভরি সোনা, দুটি বাস, একটি গাড়ি ও একটি মাইক্রোবাস। এছাড়া স্ত্রীর নামে রয়েছে রাজউকের ১০ কাঠার প্লট ও অন্যান্য স্থাবর সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে ক্ষমতাসীন সরকারের চাপের মুখে দুদকে আটকে থাকে তার বিরুদ্ধে চলা অনুসন্ধান।

দুদকের অভিযোগে এবার আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভেকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের দুর্নীতির অনুসন্ধান সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। দিনাজপুর- ৫ আসন থেকে টানা আটবার নির্বাচিত হয়েছেন ফিজার। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি এখনও জানা যায়নি।

২০০৮ সালের নির্বাচনি হলফনামায় হেনরীর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র আড়াই লাখ টাকা। অভিযোগ রয়েছে হেনরী শুধু ২০২০-২১ অর্থবছরেই ৩২ কোটি কালো টাকা সাদা করেছেন। নিজ জেলা সিরাজগঞ্জ , নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, পটুয়াখালী ও রাজধানী ঢাকায় তার অঢেল সম্পদের অর্জনের সত্যতা পায় দুদক। এরমধ্যে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সিরাজগঞ্জে গড়ে তুলেছেন ‘হেনরী ভুবন’।

অসীম কুমার উকিল ও তার স্ত্রী অপু উকিলের বিরুদ্ধেও রয়েছে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। অভিযোগ আছে, অবৈধ সম্পদের অর্থে ঢাকা উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর, ১৮ নম্বর রোড, ১৫ নম্বর বাড়িতে দুই ইউনিটে ৭তম তলা তথা ১৪টি ফ্ল্যটের মালিক তিনি। ঢাকার ধানমন্ডি ১১ নম্বর রোড, ৪০ নম্বর বাড়িতে ৩টি ফ্ল্যাট, নেত্রকোণা জেলাধীন কেন্দুয়া পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত সাউদপাড়ায় রাজকীয় ব্যয়বহুল বাড়ি করেছেন।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর