সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

আপডেট: August 19, 2024 |

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আরেক সংসদ সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব আগামী ৩০ দিনের জন্য জব্দ করার নির্দেশনা দিয়েছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা শাখা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ।

সোমবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এক চিঠিতে এই নির্দেশ দেয় সংস্থাটি। জাহেদ মালেক ছাড়াও তার ছেলে রাহাত মালেক ও মেয়ে সিনথিয়া মালেকের ব্যাংক হিসাবেও লেনদেন করা যাবে না।

এদের ছেলে মেয়ে তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেসব হিসাবের সব তথ্যও আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়।

গত ৫ অগাস্ট প্রবল গণ আন্দোলনের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের ব্যাংক হিসাব একইভাবে অবরুদ্ধ করা হয়।

মানিকগঞ্জ সদর আসন থেকে জাহিদ মালেক ২০০১ সালে প্রথমবারের মত নির্বাচন করে পরাজিত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের পরের নির্বাচনে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়ে।

২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের বর্জনের মধ্যে নির্বাচনে জেতার পর তিনি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী হন। পরের নির্বাচনে জেতার পর তিনি হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি এই পদে থাকার সময়ই করোনাভাইরাস মহামারী ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় সুরক্ষা সামগ্রী কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ উঠে।

বিএনপি ও সমমনাদের বর্জনের মুখে গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে টানা চতুর্থ জয় পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় আর জায়গা হয়নি জাহিদ মালেকের।

রাজনীতিতে আসার আগে ব্যবসাও করেছেন জাহিদ মালেক। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেড, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, বিডি থাইফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড ছাড়াও রাহাত রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড কন্সট্রাকশন লিমিটেড ও বিডি সানলাইফ ব্রোকারেজ হাউজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছিলেন।

তবে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে পরিবারটি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর