সারাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগে রাণীশংকৈলে মানববন্ধন

আপডেট: August 10, 2024 |

জাহাঙ্গীর আলম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: সারাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলা, অগ্নিসংযোগ, মন্দির ভাঙচুর,শশ্ণানের জমি দখল,নির্যাতন, মালামাল লুটপাট দেশ ত্যাগের হুমকির প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

১০ আগষ্ট (শনিবার) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় সনাতনী সম্প্রদায় রাণীশংকৈল শাখার উদ্যোগে রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ মাঠ থেকে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল বের করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ মিছিল শেষে একইস্থানে গিয়ে সমাবেশে যোগ দেয় সনাতন ধর্মালম্বীরা।

এসময় তারা অভিযোগ করে বলেন, গেল ৫ আগস্টের আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের পর থেকে দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরব ভূমিকা পালন করে। তিন দিন কোন শাসন ব্যবস্থা ছিল না।

এই সুযোগে দুষ্কৃতকারীরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও মালামাল লুট করা সহ বিভিন্ন মন্দিরে হামলা চালায়।

এখনো নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছি আমরা। অনেকেই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। তাই জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে দূঃশ্চিন্তা কাজ করছে আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষের। প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

হিন্দুদের উপর নিপীড়ন বন্দের দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নাগরিক আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণার হুশিয়ারী দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

এসময় হিন্দু- বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রাণ গোবিন্দ সাহা বাচ্চু, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ছবি কান্ত দেব, সম্পাদক সাধন কুমার বসাক উপস্থিত ছিলেন।

রাণীশংকৈল পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাধন কুমার বসাক বলেন,বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির, প্রতীমা, হিন্দুদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু মা-বোনদের ধর্ষণ করা হয়। দেশত্যাগের হুমকি দেওয়া হয়। রাতের আঁধারে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।

বিগত দিনে হওয়া হিন্দু নির্যাতনের কোনো বিচার না হওয়ায় নির্দ্বিধায় এই নারকীয় কর্মকাণ্ড চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা ।এর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

রাণীশংকৈল পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ছবি কান্ত দেব বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর যেভাবে অত্যাচার-নিপীড়নসহ মন্দির ভাঙচুর করা হয়, এটার প্রতিবাদ জানানোর জন্যই আমরা আজকে এখানে সবাই একত্রিত হয়েছি।

এসময় বিভিন্ন স্থানে মন্দির, প্রতীমা, হিন্দুদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করেন তিনি।

এসময় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন বলেন, এখন দেশে আইনশৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।কোন ধরনের নাশকতাকে ছাড় দেয়া হবে না।

কোন মানুষের উপর অন্যায় ভাবে হামলা ও নির্যাতন করা হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্ভয়ে এদেশে বসবাস করবে সকল ধর্মের মানুষ।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর