ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত

আপডেট: August 7, 2024 |

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির সহকারী প্রেস সচিব এস এম রাহাত হাসনাত গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান ছিলেন। এছাড়া বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অধ্যাপক মো. ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেন। এতে সম্মত হন অধ্যাপক ইউনূসও।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে গাড়িবহর নিয়ে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধান।

এর আগে সন্ধ্যা ৬টার কিছু সময় পর সেনাবাহিনীর একটি মাইক্রোবাসে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোরশেদ জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রস্তাবে ড. ইউনূস বলেছেন, ‘যে ছাত্ররা এত ত্যাগ স্বীকার করেছে, এই কঠিন সময়ে তারা যখন আমাকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছে, আমি কীভাবে তাদের প্রত্যাখ্যান করতে পারি?’

ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোরশেদ জানান, ড. ইউনূস এখন প্যারিসে রয়েছেন। খুব শিগগিরই ঢাকায় ফিরে আসবেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এক পর্যায়ে এক দফায় রূপ নেয় এবং সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালাতে বাধ্য হন। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন।

অন্তর্বতীকালীর সরকার গঠনের উদাহরণ বাংলাদেশে আগেও রয়েছে। ১৯৯০ সালে এরশাদের পতনের পর বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়েছিল।

২০০৭ সালে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছিল। এবারও তেমনি একটি সরকার হবে, যারা দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ কায়েম করে জাতীয় নির্বাচন দেবে। সেনাবাহিনী এই সরকারকে পেছন থেকে সহায়তা যোগাবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর