আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালাতে রিট, আজ আদেশ
‘আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা’ চেয়ে গতকাল উচ্চ আদালতে রিট করা হয়।
রিট আবেদনের ওপর আদেশের জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তথাকথিত নিরাপত্তার নামে হেফাজতে নেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে দ্রুত মুক্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
রিটের শুনানির একপর্যায়ে ডিবি অফিসে কাউকে ধরে নিয়ে তাকে খাবার টেবিলে বসিয়ে দেয়ার মশকরা করতে নিষেধ করেছেন আদালত।
গতকাল শুনানি শেষে বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ আদেশের দিন ধার্য করেন।
এ রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর-আল-মতিন প্রীতম ও আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি।
আদালতে রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও সারা হোসেন এবং আইনজীবী অনীক আর হক শুনানি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
রিটকারীর আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি বলেন, ‘আদালতে রিটে আমরা দুটি বিষয় উল্লেখ করেছি।
প্রথমত, যে ছয়জন ছাত্রকে ডিবি ধরে নিয়ে গেছে তাদের হেফাজতে, সেটি তারা পারে না। তাদের দ্রুত আদালতে হাজির করতে এবং মুক্তি দেয়ার কথা বলেছি।
এছাড়া আন্দোলনকারী নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর যাতে কোনো ধরনের গুলি বা মারা যায় এমন কোনো কিছু দিয়ে আঘাত করা না হয়।’
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে গতকাল ওই রিটের ওপর শুনানি হয়।
শুনানির একপর্যায়ে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, ‘টিভিতে দেখেছি, এই ছয়জন (সমন্বয়ক) কাঁটা চামচ দিয়ে খাচ্ছে।’
একপর্যায়ে আদালত বলেন, ‘এগুলো করতে আপনাকে কে বলেছে? কেন করলেন এগুলো? জাতিকে নিয়ে মশকরা কইরেন না। যাকে নেন ধরে, একটি খাবার টেবিলে বসিয়ে দেন।’
শুনানির শুরুতে আইনজীবী মানজুর-আল-মতিন বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের ওপরে অবাধে গুলি ছোড়া হচ্ছে।
বিবিসি, আল জাজিরাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ভিডিও ফুটেজ আছে। আমাদের সেনাবাহিনী মাত্র ২০ গজ দূরত্ব থেকে ব্রাশ ফায়ার করেছে।
আন্দোলনকারীদের হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ১৪৭ জনের মুত্যৃ হয়েছে। সরকারি বাহিনীগুলো ছিল সশস্ত্র।
বিপরীতে আন্দোলনকারীরা ছিল নিরস্ত্র। গত কয়েক দিনের ভিডিও ফুটেজ আমরা দিতে পারব।’
হাইকোর্ট তখন বলেন, ‘বিবিসি বাংলাসহ অনেক বিদেশী মিডিয়ায় নিউজ বিকৃত করে প্রচার করেছে। সুতরাং ওই সব নিউজ আসলে অকাট্যভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।’