মসজিদের ইমামের হাতে মারধরের শিকার শাশুড়ী

আপডেট: July 9, 2024 |

গলাচিপা (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: শশুর বাড়িতে ঘরের সামনে ঘর তোলা নিয়ে পটুয়াখালীর গলাচিপায় মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে চাচী শাশুড়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত ইমাম মাওলানা আলাউদ্দিন আল আজাদী। তিনি গলাচিপা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও কালারাজা হাট হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক।

মারধরের শিকার নারীর নাম পারুল বেগম (৪০)। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চিকনিকান্দি ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের মাঝগ্রাম মল্লিক বাড়িতে গত সোমবার দুপুরে।

এ ঘটনায় আহত পারুল বেগমের স্বামী মোবাশ্বের মল্লিক নারী সহ ৫জনের নাম উল্লেখ করে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ গলাচিপা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চিকনিকান্দি ইউনিয়নের মাঝ গ্রামের মো. মোবাশ্বর মল্লিকের ঘরের সামনে আব্দুর রব মল্লিকের ঘর তোলা নিয়ে বিরোধ হয়।

বিরোধ মিমাংসা করতে ইউপি চেয়ারম্যানকে জানায় মোবাশ্বের মল্লিকা। তবে কোন রকম সমাধান না হতেই ঘটনার দিন ঘরের কাজ শুরু করে রব মল্লিক।

এসময় মোবাশ্বের মল্লিক ও তার স্ত্রী পারুল বাঁধা দিলে রব মল্লিক তার জামাই মাওলানা আলাউদ্দিনসহ কয়েকজন মিলে পারুল বেগমকে এলোপাতারি কিল ,ঘুষি, চুল ধরে টানা হেচড়া ও কাপড় ধরে টানা টানি শুরু করে।

এসময় মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়লে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পারুলকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। জরুরি বিভাগ রেজি : নং ১৪০৬১/৩৯।

এ ঘটনায় মাওলানা আলাউদ্দিন , রব মল্লিক, এনামুল , মোসা: নাবিয়া ও তাসলিমা বেগমের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ আনেন পারুল বেগম।

পারুল বেগম বলেন, শশুর বাড়ির জায়গা জমির বিরোধে জামাই হয়ে মাওলানা আলাউদ্দিন হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

তিনি বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে জোর পূর্বক ঘরের কাজ শুরু করে। আমি বাঁধা দিতে গেলে আমাকে ধরে মারধর করেছে। আমাদের ঘরের সামনে ঘর তুলছে তারা চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে।

এ বিষয়ে গলাচিপা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আলাউদ্দিনের ব্যাক্তিগত ফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন নাই। পরে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফেরদৌস আলম জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর