বগুড়ায় ব্যাংকের দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেফতার

আপডেট: July 9, 2024 |

শাহজাহান আলী, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার আদমদীঘির ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংক শাখার এক কোটি ৫০ লক্ষ টাকা আত্মসাতেরমল পরিকল্পনাকারী মোঃ সুজন রহমান (২৭)কে র‍্যাব-১২, বগুড়া ও র‍্যাব-৪, সাভার নবীনগরে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করেছে।

০৮ জুলাই (সোমবার) দিবাগত রাত ৮টার দিকে র‍্যাব-১২,বগুড়া ও র‍্যাব-৪, সাভার এর যৌথ অভিযানে ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন তালতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ কারীর মূল হোতা সুজন রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত সুজন রহমান বগুড়া জেলার কাহালু থানার গোবিন্দপুর গ্রামের মোঃ এনসমুল হক এর ছেলে।

র‍্যাব-১২,বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এসব তথ্য নিশিত করেছেন।

র‍্যাবের পাঠানো প্রেস রিলিজে বলা হয়, গত ১১/৬/২৪ তারিখে বগুড়া জেলার আদমদিঘী থানাধীন চাঁপাপুর বাজার ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এজেন্ট ব্যাংক লিমিটেড শাখার ব্যবস্হাপক কাজী মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন যে, ধৃত আসামী মোঃ সুজন রহমান উক্ত ব্যাংকে ক্যাশিয়ারের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।

গত- ২৩/০৫/২৪ তারিখ আসামী তার কর্মস্হে না আসায় তার বাসায় খোঁজ নেওয়া হয়। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় বাসায় তালা লাগিয়ে অজ্ঞাত স্হানে পালিয়ে গিয়েছেন।

২৩/০৫/২৪’তারিখে মর্জিনা বেগম নামের এক গ্রাহক উক্ত ব্যাংকে তার জমাকৃত ৪,০৫,০২৩ টাকা হতে কিছু টাকা উত্তোলন করতে দেখে তার একাউন্টে ৪১৮৬০/টাকা রয়েছে।

পরবর্তীতে জানা যায় যে,আরো অনেক গ্রাহকের নিকট হতে টাকা জামা গ্রহণ করিয়া ব্যাংকে জমা প্রদান না করিয়া গ্রাহকের একাধিকবার ফিংগার প্রিন্ট গ্রহণ করিয়া মর্জিনা বেগমসহ বিভিন্ন গ্রাহকের সর্বমোট ০১ (এক) কোটি ৫০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বগুড়ার আদমদীঘি থানার মামলা নম্বর-২৯,তারিখ ২৯ মে ২০২৪- ধারা- ৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/১০৯’পেনাল কোড-১৮৬০ রুজু হয়।

এই মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে র‍্যাব-১২ বগুড়া আসামীকে আইনের আওতায় নিয়ে আনতে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে এরই ধারাবাহিকতায় ০৮ জুলাই রাত ৮টার দিকে র‍্যাব-১২,বগুড়া ও র‍্যাব-৪, সাভার যৌথ অভিযানে ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন তালতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী সুজন রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।

ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাবকে জানায় উল্লেখিত এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার আউটলটটি তার বড় চাচার নামে লাইসেন্সকৃত।

তার বড় চাচার বিভিন্নভাবে অর্থিক সংকটে পড়লে তারা মিলে পরিকল্পনা করে যে গ্রাহক হতে টাকা জমা নেওয়ার সময় সম্ভব হলে রিসিপ্ট না দিয়ে গ্রাহককে ম্যানেজ করে এবং উক্ত গ্রাহকের একাউন্টে জমা না করে নিজেরা ভাগ করে নিতো।

অপর দিকে গ্রাহক ফিংগার প্রিন্ট দিয়ে তাদের একাউন্টে রক্ষিত অর্থ উত্তোলনের সময় একাধিক ফিংগারপ্রিন্ট নিয়ে অধিক টাকা উত্তোলন করতো।

একবার ফিংগার দেওয়ার বিপরীতে উত্তোলিত টাকা গ্রাহককে দিত বাকিটাকা নিজেরা নিতো।

এভবে প্রায় এক বছর যাবত ধাপে ধাপে এজেন্ট ব্যাংকিং শাখাটির পরিচালনাকারীরা প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।

র‍্যাব-১২, বগুড়া কোম্পানি কমান্ডার ও পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন জানান, ধৃত আসামী সুজন রহমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বগুড়ার আদমদীঘি থানায় হস্তান্তর করা হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর