জয়পুরহাটে তেঘর স্কুলের ৯৯ ব্যাচের ঈদ পূর্ণ মিলনী অনুষ্ঠিত

আপডেট: June 22, 2024 |

জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তেঘর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৯ ব্যাচের  শিক্ষার্থীদের আয়োজনে  ঈদ পূর্ণ মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দিনব্যাপী জমকালো নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্য বিভিন্ন  আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। এ উপলক্ষে পুরো স্কুলে আলোকসজ্জা করা হয়েছিল।

সকলের জন্য সান্তনা পুরষ্কার ছিল এবং সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে দোয়া ও মধ্যান্ন ভোজের মাধ্যমে শেষ করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বায়তুল মুয়াজ্জাম জামে মসজিদ এর পেশ ইমাম মুফতি মো: রহুল আমীন।

স্মার্ট ৯৯ যুব সংঘের সভাপতি  মহীউদ্দীন (এমরান) এর সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে   প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তেঘর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোত্তালেব মন্ডল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদাবাদ ইউপি সদস্য গোলাম কিবরিয়া মুকুল, স্কুলের সহকারী শিক্ষক সামছুল আলম, সাবেক ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন প্রিন্স, স্মার্ট ৯৯ যুব সংঘের সহ সভাপতি মুশফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, যুগ্ম সম্পাদক এ আর আরিফ আহমেদ ,  কোষাধ্যক্ষ জুয়েল,  সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন সোহেল প্রমুখ।

এদিন সকালে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে তেঘর হাই স্কুল মাঠ। ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের এই ব্যাচের পুনর্মিলনী উৎসবে সাবেক শিক্ষার্থীরা মেতে উঠেছিলেন আনন্দে, যেন খুঁজে পেয়েছিলেন নিজেদের শৈশব।

সবাইকে আবার একসঙ্গে পেয়ে যেন কর্মজীবনের সব ক্লান্তি দূর হয়ে গিয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের। পুরোনো ক্যাম্পাসকে নতুন করে ক্যামেরাবন্দি করে রাখেন তারা।

প্রাণের বিদ্যালয়ে মধুর মিলনে সতীর্থরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও কোলাকুলির মাধ্যমে বন্ধুত্বের নতুন বন্ধন তৈরি করেন।

স্মার্ট  ৯৯ যুব সংঘের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা বলেন ২৫ বছর পর তেঘর স্কুলের ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ব্যাচ, বন্ধুত্বের টানে শৈশবের মধুর স্মৃতিচারণায় ঈদের তৃতীয় দিন ব্যতিক্রমধর্মী মিলনমেলার আয়োজন করেছে।

ব্যাচের সদস্যদের অনেকেই দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত। সকলকে একত্রিত করতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত।

স্মার্ট ৯৯ যুব সংঘের সভাপতি  মহীউদ্দীন (এমরান) বলেন আমরা শৈশব-কৈশোরের খোঁজে এখানে ছুটে এসেছি, স্বপ্নের দরবারে, স্মৃতির আঙিনায়।

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে  প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেলবন্ধন রচিত হয়। সুখ-দুঃখের স্মৃতি রোমান্থন করার সুযোগ ঘটে। এর মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর