দ্রুত রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে জম্মু – কাশ্মীর: মোদি
জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা দ্রুত ফিরে পাবে ঘোষণা দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, আমার উপরে বিশ্বাস রাখুন, আমি গত ৬০ বছরের সমস্যা থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে বের করে আনব।
কাশ্মীরের মানুষ নিজেদের ভোটেই নিজেদের সরকার গড়বে। দিল্লি ও শ্রীনগরের মধ্যেকার দূরত্ব কমানোই আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারের মূল উদ্দেশ্য।
শুক্রবার (২১ জুন) বিশ্ব ইয়োগা দিবস উপলক্ষে কাশ্মীর সফরে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা সেখানকার বিদায়ী সাংসদ জিতেন্দ্র সিংহের সমর্থনে সভা করেন মোদী।
সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, আর খুব বেশি দিন নেই, যখন জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হবে এবং রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া হবে। ভোটের পরই কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা খর্ব করার পাশাপাশি উপত্যকার পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেয়া হয়।
জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে নিয়ে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়। কাশ্মীরকে যেভাবে পূর্ণ রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছিল, সেটা নিয়ে মোদি সরকারকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল।
এর মধ্যে গত ডিসেম্বরে ৩৭০ ধারা বাতিল সংক্রান্ত মামলায় দেশটির শীর্ষ আদালতের রায়ে বলা হয়, উপত্যকায় গণতন্ত্রের পুনরুত্থান জরুরি। শীর্ষ আদালত জানায়, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন করাতে হবে।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে এই নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। কতদিনে কাশ্মীরকে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব, সেটা স্পষ্ট করে জানাতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
এখনও পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর কোনো সময়সীমা জানাতে পারেনি মোদি সরকার।