ইউক্রেনে হাদিসুরের মরদেহ ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: March 6, 2022 |
print news

বাংলাদেশের ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের ২৮ নাবিক ইউক্রেন থেকে নিরাপদে রোমানিয়ায় পৌঁছেছেন। তবে জাহাজের মধ্যে রকেট হামলায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ ইউক্রেনে ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

রোববার (৬ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. মোমেন বলেন, ইউক্রেন থেকে ২৮ নাবিককে রোমানিয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে। তারা শিগগিরই দেশে আসবেন। তবে হাদিসুর রহমানের মরদেহ এখনি দেশে আনা হচ্ছে না। তার মরদেহ ইউক্রেনে ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছে। পরে তার মরদেহ দেশে আনা হবে। একটু সময় লাগবে। পরে তার মরদেহ দেশে আনা হবে।

গত ২ মার্চ যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ রকেট হামলার শিকার হয়েছে। হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমানের (৩৩) মৃত্যু হয়।

ইউক্রেনের একটি ক্যাম্পে পাঁচ বাংলাদেশিকে জিম্মি করে রাখা প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, এটা আমরা শুনেছি। আমরাও ভিডিও দেখেছি। আমাদের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এটা নিয়ে গতকাল রাতেও আলাপ হয়েছে।

তারা তথ্য সংগ্রহ করছেন। তবে যতদূর জানা যায়, এরা রাশিয়াতে খেলা দেখতে গিয়েছিল। ওখান থেকে তারা ইউক্রেনে চলে গেছে। সেখানে যাওয়ার পর তারা অবৈধ হওয়ায় তাদের আটক করে রাখা হয়েছে।

তাদের ডিটেনশন সেন্টারে দিয়েছে। ওই ডিটেনশন সেন্টারে এখনও তারা আছে। এতটুকু তথ্য আমরা জানি। বাকি তথ্য আমরা জানার চেষ্টা করছি। তাদের মিশন চেষ্টা করছে।

তথ্য সঠিক হলে ইউক্রেন ক্যাম্পে আটক এ পাঁচ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনা হবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ডাকা জরুরি বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, আমরা শান্তির দেশ। আমরা শান্তি চাই।

কোথাও যুদ্ধ হোক সেটা আমরা চাই না। আমরা সেজন্য প্রস্তাব করেছি, যে দুর্ঘটনা হচ্ছে, এটা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সেই সঙ্গে আমরা আশা করি জাতিসংঘের যে চার্টার্ড আছে, সেটা মেনে অগ্রসর হওয়া উচিত।

তারপর আমরা বলেছি, এটা আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে। আমরা বলেছি, ইউক্রেনে বিভিন্ন দেশের যত নাগরিক ওখানে আছে, তাদের নিরাপত্তা যেন নিশ্চিত করা হয়। শেষে আমরা বলেছি, জাতিসংঘের মহাসচিবের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। আর আমরা শান্তির সপক্ষে অবস্থান নিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, ইউক্রেন থেকে এক হাজারের বেশি বাংলাদেশি অন্যত্র চলে যেতে সক্ষম হয়েছে। এক হাজারের একটু বেশি। সেখানে এখনও শ’খানেকর মতো বাংলাদেশি রয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস উপস্থিত ছিলেন।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর